
বাংলার খবর প্রতিনিধি, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ:
নবীগঞ্জ উপজেলার তিমিরপুর ও আনমনু এলাকার মধ্যে সংঘটিত সাম্প্রতিক সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে গঠিত শালিস কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে নবীগঞ্জ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এই সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট নাগরিকরা অংশ নেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শালিস কমিটির উপদেষ্টা মো. শাহজাহান আলী। উপস্থিত ছিলেন ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান সেফু, পৌরসভার সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী, বিএনপির আহ্বায়ক সফরাজ আহমদ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি খালেদ আহমদ পাঠানসহ এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় বাজার এলাকায় সংঘর্ষের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যেন উস্কানিমূলক মন্তব্য, স্ট্যাটাস বা বক্তব্য না দেয়—সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানানো হয়।
কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দুই গ্রামের মধ্যকার বিরোধের সকল সমস্যা শালিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। তবে সভায় উঠে আসে—শালিস চলাকালীন থানায় মামলা দায়েরের ঘটনায় অনেক সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সভা শেষে কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট, লুট হওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ক্ষয়ক্ষতির চিত্র সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন।
সভায় আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যাতে ভবিষ্যতে এমন অশান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং এলাকায় শান্তি ও সামাজিক সম্প্রীতি বজায় থাকে।