
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা বাস্তবায়নে হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরশহর ও উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যানার ও পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের কর্মীদের অংশগ্রহণে পরিচালিত এ কার্যক্রমে সড়ক, ফুটপাত, বৈদ্যুতিক খুঁটি, সরকারি ও বেসরকারি ভবনের দেয়ালসহ জনসমাগমস্থলগুলো এখন অনেকটাই পরিচ্ছন্ন ও দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিনের ভিজ্যুয়াল দূষণ কমে যাওয়ায় নগরজুড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সাধারণ মানুষ।
গত কয়েক দিনে মাধবপুর পৌরশহরের প্রধান সড়ক, বাসস্ট্যান্ড এলাকা, বাজার, হাসপাতাল সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট থেকে ব্যানার ও পোস্টার অপসারণ করা হয়। একই সঙ্গে উপজেলার ১১ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ হাটবাজার, ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর, সড়কসংলগ্ন দেয়াল ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকেও পোস্টার নামানো হয়েছে। কোথাও স্বেচ্ছাশ্রমে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা কাজ করেছেন, আবার কোথাও স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সমন্বিতভাবে অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ বিন কাশেম জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আচরণবিধি বাস্তবায়নে প্রশাসন মাঠপর্যায়ে কঠোর নজরদারি করছে। তিনি বলেন, “মাধবপুর পৌরশহর ও উপজেলার ১১ ইউনিয়নের সব এলাকায় অবৈধ ব্যানার–পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে নতুন করে কোথাও পোস্টার বা ব্যানার লাগানো হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আচরণবিধি ভঙ্গ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, শহর ও গ্রাম—উভয় জায়গায় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা প্রশাসনের অগ্রাধিকার।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল ইসলাম কামাল বলেন, ইসির নির্দেশনা মেনে দলীয়ভাবে ব্যানার–পোস্টার অপসারণে তারা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানা আমাদের নৈতিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব। মাধবপুর পৌরশহরসহ ১১ ইউনিয়নে আমাদের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পোস্টার সরিয়েছে।”
জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতা মাওলানা রোকন উদ্দিন বলেন, “আইন সবার জন্য সমান—এই বিশ্বাস থেকেই আমরা ব্যানার–পোস্টার অপসারণে অংশ নিয়েছি। ইসির নির্দেশনা বাস্তবায়িত হলে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে।”
পৌরশহরের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা জানান, ব্যানার–পোস্টার অপসারণের ফলে দোকানপাট দৃশ্যমান হয়েছে, ফুটপাত দখলমুক্ত হয়েছে এবং চলাচল সহজ হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়াল পরিষ্কার হওয়ায় পরিবেশ আরও শিক্ষাবান্ধব হয়েছে বলে জানান শিক্ষকরা।
বাংলার খবর ডেস্ক : 





















