
বাংলার খবর ডেস্ক:
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলায় সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ টেন্ডার নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ঠিকাদাররা অভিযোগ করেছেন, টেন্ডার আইডি নম্বর ১১৫৫২৪৪-এর প্রকল্পটি ই-জিপি (ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট) সিস্টেমে ‘লাইভে’ প্রকাশ করা হয়নি, যার ফলে তারা টেন্ডার জমা দিতে পারেননি। ঠিকাদারদের দাবি, সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন করে নির্দিষ্ট ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডার আইডি নম্বর ১১৫৫২৪৪-এর নোটিশ জারি করে। কিন্তু হবিগঞ্জ জেলার তালিকাভুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো ই-জিপি পোর্টালে গিয়ে দেখেন, প্রকল্পটির বিস্তারিত তথ্য ‘লাইভ’ টেন্ডারে প্রকাশিত হয়নি।
এ বিষয়ে লাখাই উপজেলার বেশ কয়েকটি লাইসেন্সধারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান—আসাদুজ্জামান ট্রেডার্স, মেসার্স মদিনা এন্টারপ্রাইজ, মায়ের দোয়া ট্রেডার্স, মেসার্স আরাবি এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মালু এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স জারিফ এন্টারপ্রাইজ ও সম্রাট ট্রেডার্স—উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
তাদের আবেদনে বলা হয়েছে, দ্রুত টেন্ডার আইডি নম্বর ১১৫৫২৪৪ সংশোধন করে পুনরায় ই-জিপি প্ল্যাটফর্মে ‘লাইভে’ প্রকাশ না করলে পরবর্তীতে এই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি বা দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে পারে। তারা আশঙ্কা করছেন, এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হবে।
এদিকে, পারভেজ তালুকদার ও আরিফুর রহমান পারভেজ নামে দুইজন স্থানীয় ব্যক্তি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দাবি করেছেন, হবিগঞ্জ জেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রায় ১৫ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ব্রিজ ও কালভার্টের কাজ টেন্ডার ছাড়া নির্দিষ্ট ঠিকাদারদের দেওয়া হচ্ছে এবং হবিগঞ্জ যেন ‘দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য’ হয়ে উঠেছে।
টেন্ডার ‘লাইভে’ প্রকাশ না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “লাইভে না দেখানোর কারণ টেকনিক্যাল সমস্যা।”
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাশ অনুপ-এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঠিকাদারদের দাবি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে দ্রুত টেন্ডারটি পুনরায় প্রকাশ এবং পুরো ঘটনার তদন্ত করা প্রয়োজন। বর্তমানে এই বিষয়টি নিয়ে লাখাইয়ের ঠিকাদার মহলে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
বাংলার খবর ডেস্ক : 























