ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাখাইয়ে হাওরে নিখোঁজের ২৬ ঘণ্টা পর জেলের মরদেহ উদ্ধার

পারভেজ হাসান, লাখাই প্রতিনিধি,হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সন্তোষপুর হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ২৬ ঘণ্টা পর ফরিদ মিয়া (৫৫) নামে এক জেলের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে বাওয়া এলাকায় স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পান।

জানা যায়, সোমবার ভোরে তিনজন জেলে—ফরিদ মিয়া, এলকাছ মিয়া ও ইসমাইল মিয়া—সন্তোষপুর হাওরে কারেন্ট জাল ফেলতে যান। তখন আকস্মিকভাবে দমকা হাওয়া ও ভারি বৃষ্টিতে হাওরে ঘন অন্ধকার নেমে আসে। একপর্যায়ে ফরিদ মিয়া পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন।

স্থানীয়রা এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে বাওয়া হাওরে তার মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। পরিবারের অনুরোধে থানার অনুমতি সাপেক্ষে মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি চলছে।

ফরিদ মিয়ার ছেলে রাকিব মিয়া জানান,“আমার বাবার মৃত্যুর জন্য আমরা কাউকে দায়ী করছি না।”

লাখাই থানার ওসি বন্দে আলী বলেন,
“পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”

হাওরের প্রতিকূল আবহাওয়া ও দুর্যোগের মুখে প্রতিদিনই মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন। এই ঘটনাটি সে বাস্তবতারই করুণ প্রতিফলন।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ
error:

লাখাইয়ে হাওরে নিখোঁজের ২৬ ঘণ্টা পর জেলের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ১০:৫৩:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

পারভেজ হাসান, লাখাই প্রতিনিধি,হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সন্তোষপুর হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ২৬ ঘণ্টা পর ফরিদ মিয়া (৫৫) নামে এক জেলের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে বাওয়া এলাকায় স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পান।

জানা যায়, সোমবার ভোরে তিনজন জেলে—ফরিদ মিয়া, এলকাছ মিয়া ও ইসমাইল মিয়া—সন্তোষপুর হাওরে কারেন্ট জাল ফেলতে যান। তখন আকস্মিকভাবে দমকা হাওয়া ও ভারি বৃষ্টিতে হাওরে ঘন অন্ধকার নেমে আসে। একপর্যায়ে ফরিদ মিয়া পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন।

স্থানীয়রা এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে বাওয়া হাওরে তার মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। পরিবারের অনুরোধে থানার অনুমতি সাপেক্ষে মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি চলছে।

ফরিদ মিয়ার ছেলে রাকিব মিয়া জানান,“আমার বাবার মৃত্যুর জন্য আমরা কাউকে দায়ী করছি না।”

লাখাই থানার ওসি বন্দে আলী বলেন,
“পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”

হাওরের প্রতিকূল আবহাওয়া ও দুর্যোগের মুখে প্রতিদিনই মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন। এই ঘটনাটি সে বাস্তবতারই করুণ প্রতিফলন।