ঢাকা ১১:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মোস্তাফিজকে রেকর্ড ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে নিলো কলকাতা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Logo মাধবপুরে স্পোর্টস মিনি নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo ওরসের পবিত্রতা বনাম জুয়ার কালো থাবা — লাখাইয়ের শান্তির পথে কাঁটা Logo বানিয়াচং সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, আহত ২ Logo মাধবপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৫৪তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন Logo হবিগঞ্জে ৫৫ বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাচালানি পণ্য জব্দ Logo মাধবপুরে ব্যানার–পোস্টার অপসারণ: পৌরশহর ও ১১ ইউনিয়নে ফিরছে পরিচ্ছন্নতা Logo ৪০ পিস ইয়াবাসহ লাখাইয়ে আটক ১: মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে পুলিশ Logo মাধবপুরে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

ছাড়পত্র ছাড়াই হবিগঞ্জের লাখাইয়ে চলছে দুই ইটের ভাটা: পরিবেশ বিপর্যয় ও ফসলহানির অভিযোগ

পারভেজ হাসান,লাখাই প্রতিনিধি:

পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি উত্তর মদনপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে দুটি ইটের ভাটা। মেসার্স তিতাস ব্রিকস ফিল্ড এবং সিএমসি ইটের বাটা—এই দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্থানীয় পরিবেশের ক্ষতিসাধন ও ফসল ফলাদির উৎপাদন হ্রাসের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুড়াকরি উত্তর মদনপুর এলাকায় অবস্থিত মেসার্স তিতাস ব্রিকস ফিল্ড এবং সিএমসি ইটের বাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। এই অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটা দুটির বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও দূষণ স্থানীয় গ্রাম অঞ্চলের পরিবেশের মারাত্মক বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া ও বর্জ্য স্থানীয় বায়ু দূষণ করছে। অভিযোগ রয়েছে, দূষণের কারণে আশেপাশের কৃষি জমিতে ফসল ফলাদির উৎপাদন দিন দিন কমছে।

অবৈধভাবে ভাটা পরিচালনার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ভাটা মালিকরা নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
মেসার্স তিতাস ব্রিকস ফিল্ডের প্রোপাইটার হাজী মোমেন ভূইয়া বলেন, “আমরা ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছি, কিন্তু ছাড়পত্র এখনও পর্যন্ত পাইনি।”
সিএমসি ইটের বাটার প্রোপাইটরও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা হলেও প্রক্রিয়াটি এখনও সম্পন্ন হয়নি।

ভাটা মালিকরা ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করার কথা জানালেও, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে এই দুটি ইটভাটা কীভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া ইটভাটা পরিচালনা করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং এটি পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের লঙ্ঘন। অবৈধ ইটভাটার কারণে সৃষ্ট দূষণ জনস্বাস্থ্য এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি স্বরূপ।

কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে, লাখাইয়ের এই অঞ্চলের পরিবেশ বিপর্যয় আরও প্রকট হতে পারে এবং স্থানীয় কৃষকদের ফসলহানির ফলে জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন যেন অনতিবিলম্বে এই অবৈধ ইটভাটা দুটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেয়।

এ বিষয়ে লাখাই প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী নেওয়াজ বলেন, “এই ইটের ভাটার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য হারাচ্ছে এবং আশেপাশের ফসলী জমি নষ্ট হচ্ছে, ফসল উৎপাদন কম হচ্ছে।”
এ ব্যাপারে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, “আমি এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ

মোস্তাফিজকে রেকর্ড ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে নিলো কলকাতা

error:

ছাড়পত্র ছাড়াই হবিগঞ্জের লাখাইয়ে চলছে দুই ইটের ভাটা: পরিবেশ বিপর্যয় ও ফসলহানির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

পারভেজ হাসান,লাখাই প্রতিনিধি:

পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি উত্তর মদনপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে দুটি ইটের ভাটা। মেসার্স তিতাস ব্রিকস ফিল্ড এবং সিএমসি ইটের বাটা—এই দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্থানীয় পরিবেশের ক্ষতিসাধন ও ফসল ফলাদির উৎপাদন হ্রাসের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুড়াকরি উত্তর মদনপুর এলাকায় অবস্থিত মেসার্স তিতাস ব্রিকস ফিল্ড এবং সিএমসি ইটের বাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। এই অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটা দুটির বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও দূষণ স্থানীয় গ্রাম অঞ্চলের পরিবেশের মারাত্মক বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া ও বর্জ্য স্থানীয় বায়ু দূষণ করছে। অভিযোগ রয়েছে, দূষণের কারণে আশেপাশের কৃষি জমিতে ফসল ফলাদির উৎপাদন দিন দিন কমছে।

অবৈধভাবে ভাটা পরিচালনার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ভাটা মালিকরা নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
মেসার্স তিতাস ব্রিকস ফিল্ডের প্রোপাইটার হাজী মোমেন ভূইয়া বলেন, “আমরা ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছি, কিন্তু ছাড়পত্র এখনও পর্যন্ত পাইনি।”
সিএমসি ইটের বাটার প্রোপাইটরও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা হলেও প্রক্রিয়াটি এখনও সম্পন্ন হয়নি।

ভাটা মালিকরা ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করার কথা জানালেও, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে এই দুটি ইটভাটা কীভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া ইটভাটা পরিচালনা করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং এটি পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের লঙ্ঘন। অবৈধ ইটভাটার কারণে সৃষ্ট দূষণ জনস্বাস্থ্য এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি স্বরূপ।

কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে, লাখাইয়ের এই অঞ্চলের পরিবেশ বিপর্যয় আরও প্রকট হতে পারে এবং স্থানীয় কৃষকদের ফসলহানির ফলে জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন যেন অনতিবিলম্বে এই অবৈধ ইটভাটা দুটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেয়।

এ বিষয়ে লাখাই প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী নেওয়াজ বলেন, “এই ইটের ভাটার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য হারাচ্ছে এবং আশেপাশের ফসলী জমি নষ্ট হচ্ছে, ফসল উৎপাদন কম হচ্ছে।”
এ ব্যাপারে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, “আমি এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”