ঢাকা ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদক ব্যবসায়ীদের ‘যমদূত’— হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ জুড়ে মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর অভিযান পরিচালনা করে আলোচনায় এসেছেন পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান। ‘মাদককে না বলুন’ স্লোগান সামনে রেখে তিনি প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছেন। ফলে মাদক ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট প্রায় ভেঙে গেছে।

জেলার ৯টি উপজেলায় গঠিত বিশেষ টিম নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। বিশেষ নজরদারি চলছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও সীমান্ত এলাকায়, যেখান দিয়ে আন্তজেলা মাদক চোরাচালানকারীরা মাদক পাচারের চেষ্টা করে।

গত ১৫ দিনে পরিচালিত ১১টি অভিযানে ১২৭ কেজি গাঁজা, ৮০০ কেজি ভারতীয় ফুচকা, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অন্যান্য নিষিদ্ধ দ্রব্যসহ ১৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

২৩ অক্টোবর সকালে চুনারুঘাট পৌরসভার বান্নিপার্ক রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে ৬ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে থানা পুলিশ। একইদিন সকাল ১০টায় চুনারুঘাট চণ্ডি মাজার গেইট এলাকা থেকে ১৫ কেজি গাঁজাসহ আরও দুইজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

এর আগে ১৫ অক্টোবর সদর থানার পাইকপাড়া বাইপাস এলাকা থেকে ৩০৮ পিস ইয়াবা, ১৪ অক্টোবর শায়েস্তাগঞ্জের ওলিপুর থেকে ৭০ কেজি গাঁজা, ১৩ অক্টোবর ওলিপুর রেলক্রসিং থেকে ৮০০ কেজি ভারতীয় ফুচকা, ১১ অক্টোবর হবিগঞ্জ স্টেডিয়ামের সামনে থেকে ৮ কেজি গাঁজা এবং ১০ অক্টোবর বাহুবলের মীরপুর থেকে ১২ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও ৭ অক্টোবর নোয়াপাড়া বাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকার জালনোটসহ দুইজনকে, ৩ অক্টোবর সদর ও চুনারুঘাটে পৃথক অভিযানে ভারতীয় ইস্কোপ সিরাপ, ফেইস ওয়াশ ও গাঁজাসহ একাধিকজনকে আটক করা হয়।

২৬ সেপ্টেম্বর মাধবপুর থানার বিশেষ টিম ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে ভারতীয় তৈরি নিষিদ্ধ ফেইস ওয়াশসহ দুটি মাইক্রোবাস জব্দ করে।

পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান বলেন,
> “আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। হবিগঞ্জের যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষায় পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। সীমান্ত এলাকায় টহল ও সোর্স কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে যাতে কোনো চোরাকারবারি আমাদের চোখ ফাঁকি দিতে না পারে।”

তিনি আরও বলেন,
> “মাদক নির্মূল করা কঠিন চ্যালেঞ্জ, তবুও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। হবিগঞ্জে যতদিন আছি, মাদক ব্যবসায়ীদের ‘যমদূত’ হয়েই কাজ করে যাবো— ইনশাআল্লাহ।”

মাদকবিরোধী এ অভিযানে জেলা পুলিশের কঠোর পদক্ষেপে সচেতন মহল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসার ঝড় উঠেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ
error:

মাদক ব্যবসায়ীদের ‘যমদূত’— হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান

আপডেট সময় ০১:৩১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ জুড়ে মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর অভিযান পরিচালনা করে আলোচনায় এসেছেন পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান। ‘মাদককে না বলুন’ স্লোগান সামনে রেখে তিনি প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছেন। ফলে মাদক ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট প্রায় ভেঙে গেছে।

জেলার ৯টি উপজেলায় গঠিত বিশেষ টিম নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। বিশেষ নজরদারি চলছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও সীমান্ত এলাকায়, যেখান দিয়ে আন্তজেলা মাদক চোরাচালানকারীরা মাদক পাচারের চেষ্টা করে।

গত ১৫ দিনে পরিচালিত ১১টি অভিযানে ১২৭ কেজি গাঁজা, ৮০০ কেজি ভারতীয় ফুচকা, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অন্যান্য নিষিদ্ধ দ্রব্যসহ ১৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

২৩ অক্টোবর সকালে চুনারুঘাট পৌরসভার বান্নিপার্ক রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে ৬ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে থানা পুলিশ। একইদিন সকাল ১০টায় চুনারুঘাট চণ্ডি মাজার গেইট এলাকা থেকে ১৫ কেজি গাঁজাসহ আরও দুইজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

এর আগে ১৫ অক্টোবর সদর থানার পাইকপাড়া বাইপাস এলাকা থেকে ৩০৮ পিস ইয়াবা, ১৪ অক্টোবর শায়েস্তাগঞ্জের ওলিপুর থেকে ৭০ কেজি গাঁজা, ১৩ অক্টোবর ওলিপুর রেলক্রসিং থেকে ৮০০ কেজি ভারতীয় ফুচকা, ১১ অক্টোবর হবিগঞ্জ স্টেডিয়ামের সামনে থেকে ৮ কেজি গাঁজা এবং ১০ অক্টোবর বাহুবলের মীরপুর থেকে ১২ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও ৭ অক্টোবর নোয়াপাড়া বাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকার জালনোটসহ দুইজনকে, ৩ অক্টোবর সদর ও চুনারুঘাটে পৃথক অভিযানে ভারতীয় ইস্কোপ সিরাপ, ফেইস ওয়াশ ও গাঁজাসহ একাধিকজনকে আটক করা হয়।

২৬ সেপ্টেম্বর মাধবপুর থানার বিশেষ টিম ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে ভারতীয় তৈরি নিষিদ্ধ ফেইস ওয়াশসহ দুটি মাইক্রোবাস জব্দ করে।

পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান বলেন,
> “আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। হবিগঞ্জের যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষায় পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। সীমান্ত এলাকায় টহল ও সোর্স কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে যাতে কোনো চোরাকারবারি আমাদের চোখ ফাঁকি দিতে না পারে।”

তিনি আরও বলেন,
> “মাদক নির্মূল করা কঠিন চ্যালেঞ্জ, তবুও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। হবিগঞ্জে যতদিন আছি, মাদক ব্যবসায়ীদের ‘যমদূত’ হয়েই কাজ করে যাবো— ইনশাআল্লাহ।”

মাদকবিরোধী এ অভিযানে জেলা পুলিশের কঠোর পদক্ষেপে সচেতন মহল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসার ঝড় উঠেছে।