ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চা বাগানের মানুষ আমাদের পরিবার — সৈয়দ শাফকাত আহমেদের আবেগঘন বক্তব্য

“হাতে হাত রেখেছি—এই বন্ধন চিরদিন অটুট থাকবে।”
চা বাগানের কর্মজীবী মানুষের প্রতি নিজের গভীর ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ ও অঙ্গীকারের কথা এমনই আবেগঘন ভাষায় তুলে ধরলেন সায়হাম নীট কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাফকাত আহমেদ। তিনি বলেন, বহু বছর অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত অবস্থায় থাকা চা বাগান শ্রমিকেরা শিল্পকারখানায় কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে আজ স্বনির্ভরতার পথে এগোচ্ছেন। “আমরা তাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব”—তিনি দৃঢ় কণ্ঠে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

গত তিন দিন ধরে হবিগঞ্জ–৪ (মাধবপুর–চুনারুঘাট) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ মো. ফয়সলকে কেন্দ্র করে নোয়াপাড়া নির্বাচনী কার্যালয়ে একাধিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নোয়াপাড়া, বৈকুন্ঠপুর, জগদীশপুর, সুরমা, তেলিয়াপাড়া এবং চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ ইউনিয়নের বিভিন্ন চা বাগানের শীর্ষস্থানীয় শ্রমিক নেতা–কর্মীরা অংশ নেন। চানপুর, জোয়ালভাঙা, বেগম খান, চন্ডিছড়া, রামগঙ্গা ও চাকলা পুঞ্জি চা বাগানের প্রতিনিধিরাও সভায় মতামত তুলে ধরেন।

শ্রমিক নেতারা জানান, সায়হাম পরিবার এবং সৈয়দ মো. ফয়সল দীর্ঘদিন ধরে চা শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে আসছেন। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি, মৌলিক অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নে তাদের অবদানের জন্য শ্রমিক সমাজ কৃতজ্ঞ। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সুরমা চা বাগানের শ্রমিক নেতা দীপক রাজ বলেন, “সুরমা চা বাগানে মোট তিনটি ওয়ার্ড রয়েছে। আমরা সবাই এ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে আছি। এবারের নির্বাচন আমাদের জন্য ইতিহাস রচনার সুযোগ। ধানের শীষে ভোট দিয়ে আমরা সৈয়দ ফয়সলকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে চাই—এটাই আমাদের অঙ্গীকার।”

তিনি আরও বলেন, চা শ্রমিকরা বহু বছর ধরে ন্যায্য অধিকার, উন্নত জীবনমান, সামাজিক মর্যাদা এবং সন্তানদের শিক্ষার জন্য সংগ্রাম করে আসছেন। যারা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, সহযোগিতা করেছে—শ্রমিক সমাজ সবসময় তাদের প্রতিই আস্থা রেখেছে।

শ্রমিক নেত্রী খাইরুন বলেন, বাগানের মানুষের সংকট থেকে মুক্তির জন্য একটি সৎ, শ্রমিকবান্ধব নেতৃত্ব প্রয়োজন—এবং সেই নেতৃত্বের প্রতি তারা আস্থা গড়ে তুলেছেন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে শাফকাত আহমেদ বলেন, “চা বাগানের মানুষের দুঃখ–কষ্ট আমরা ছোটবেলা থেকেই খুব কাছে থেকে দেখেছি। তাদের সীমাবদ্ধতা, সংগ্রাম ও স্বপ্ন আমাদের হৃদয়ের অংশ। তাদের জীবনমান উন্নয়নেই আমরা শিল্পকারখানা স্থাপন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছি। চা বাগানের মানুষ আমাদের শুধু ভোটার নন, তাঁরা আমাদের পরিবারের সদস্য।”

তিনি আরও বলেন, মাধবপুর–চুনারুঘাট অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজন পরিবর্তনের নেতৃত্ব—যে নেতৃত্ব বাস্তব সমস্যার সমাধানে কাজ করতে পারে। এ কারণে তিনি উপস্থিত সবার প্রতি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ মো. ফয়সলকে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।

শাফকাত আহমেদ বলেন, “আমরা সবাই মিলেমিশে শান্তিতে থাকতে চাই। উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে হলে যোগ্য নেতৃত্বকে সামনে আনতেই হবে। তাই আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে মাধবপুর–চুনারুঘাটবাসীর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।”

চা শ্রমিক নেতারা জানান, শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও মানবিক সহায়তায় সায়হাম পরিবারের দীর্ঘদিনের ভূমিকা বাগানবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। তাই আগামীতেও তাদের ওপর আস্থা রেখে উন্নয়নের ধারাকে আরও এগিয়ে নিতে চান তারা।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ
error:

চা বাগানের মানুষ আমাদের পরিবার — সৈয়দ শাফকাত আহমেদের আবেগঘন বক্তব্য

আপডেট সময় ০৭:৫১:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

“হাতে হাত রেখেছি—এই বন্ধন চিরদিন অটুট থাকবে।”
চা বাগানের কর্মজীবী মানুষের প্রতি নিজের গভীর ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ ও অঙ্গীকারের কথা এমনই আবেগঘন ভাষায় তুলে ধরলেন সায়হাম নীট কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাফকাত আহমেদ। তিনি বলেন, বহু বছর অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত অবস্থায় থাকা চা বাগান শ্রমিকেরা শিল্পকারখানায় কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে আজ স্বনির্ভরতার পথে এগোচ্ছেন। “আমরা তাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব”—তিনি দৃঢ় কণ্ঠে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

গত তিন দিন ধরে হবিগঞ্জ–৪ (মাধবপুর–চুনারুঘাট) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ মো. ফয়সলকে কেন্দ্র করে নোয়াপাড়া নির্বাচনী কার্যালয়ে একাধিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নোয়াপাড়া, বৈকুন্ঠপুর, জগদীশপুর, সুরমা, তেলিয়াপাড়া এবং চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ ইউনিয়নের বিভিন্ন চা বাগানের শীর্ষস্থানীয় শ্রমিক নেতা–কর্মীরা অংশ নেন। চানপুর, জোয়ালভাঙা, বেগম খান, চন্ডিছড়া, রামগঙ্গা ও চাকলা পুঞ্জি চা বাগানের প্রতিনিধিরাও সভায় মতামত তুলে ধরেন।

শ্রমিক নেতারা জানান, সায়হাম পরিবার এবং সৈয়দ মো. ফয়সল দীর্ঘদিন ধরে চা শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে আসছেন। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি, মৌলিক অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নে তাদের অবদানের জন্য শ্রমিক সমাজ কৃতজ্ঞ। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সুরমা চা বাগানের শ্রমিক নেতা দীপক রাজ বলেন, “সুরমা চা বাগানে মোট তিনটি ওয়ার্ড রয়েছে। আমরা সবাই এ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে আছি। এবারের নির্বাচন আমাদের জন্য ইতিহাস রচনার সুযোগ। ধানের শীষে ভোট দিয়ে আমরা সৈয়দ ফয়সলকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে চাই—এটাই আমাদের অঙ্গীকার।”

তিনি আরও বলেন, চা শ্রমিকরা বহু বছর ধরে ন্যায্য অধিকার, উন্নত জীবনমান, সামাজিক মর্যাদা এবং সন্তানদের শিক্ষার জন্য সংগ্রাম করে আসছেন। যারা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, সহযোগিতা করেছে—শ্রমিক সমাজ সবসময় তাদের প্রতিই আস্থা রেখেছে।

শ্রমিক নেত্রী খাইরুন বলেন, বাগানের মানুষের সংকট থেকে মুক্তির জন্য একটি সৎ, শ্রমিকবান্ধব নেতৃত্ব প্রয়োজন—এবং সেই নেতৃত্বের প্রতি তারা আস্থা গড়ে তুলেছেন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে শাফকাত আহমেদ বলেন, “চা বাগানের মানুষের দুঃখ–কষ্ট আমরা ছোটবেলা থেকেই খুব কাছে থেকে দেখেছি। তাদের সীমাবদ্ধতা, সংগ্রাম ও স্বপ্ন আমাদের হৃদয়ের অংশ। তাদের জীবনমান উন্নয়নেই আমরা শিল্পকারখানা স্থাপন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছি। চা বাগানের মানুষ আমাদের শুধু ভোটার নন, তাঁরা আমাদের পরিবারের সদস্য।”

তিনি আরও বলেন, মাধবপুর–চুনারুঘাট অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজন পরিবর্তনের নেতৃত্ব—যে নেতৃত্ব বাস্তব সমস্যার সমাধানে কাজ করতে পারে। এ কারণে তিনি উপস্থিত সবার প্রতি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ মো. ফয়সলকে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।

শাফকাত আহমেদ বলেন, “আমরা সবাই মিলেমিশে শান্তিতে থাকতে চাই। উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে হলে যোগ্য নেতৃত্বকে সামনে আনতেই হবে। তাই আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে মাধবপুর–চুনারুঘাটবাসীর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।”

চা শ্রমিক নেতারা জানান, শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও মানবিক সহায়তায় সায়হাম পরিবারের দীর্ঘদিনের ভূমিকা বাগানবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। তাই আগামীতেও তাদের ওপর আস্থা রেখে উন্নয়নের ধারাকে আরও এগিয়ে নিতে চান তারা।