ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাহুবলে দুর্নীতিবাজ ও দালাল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন নবাগত ওসি আমিনুল ইসলাম

বাংলার খবর ডেস্কঃ

হবিগঞ্জের বাহুবল মডেল থানার নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই থানার ভেতরে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও দালাল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছেন।

রোববার দায়িত্ব গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “যারা থানায় চাঁদাবাজি, তদবির বা অনৈতিক কাজে জড়িত থাকবে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। থানা কোনো দালালের আশ্রয়স্থল নয়। এই থানাকে নির্যাতিত, নিরীহ ও অসহায় মানুষের ভরসার জায়গা হিসেবে গড়ে তুলব।”

ওসি আমিনুল ইসলাম আরও জানান, যোগদানের পর প্রথম অভিযানেই ১৫ কেজি গাঁজাসহ একাধিক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, বাহুবল উপজেলাকে মাদকমুক্ত রাখতে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।

স্থানীয় জনগণের উদ্দেশে ওসি আমিনুল বলেন, “যারা সমস্যায় আছেন, তারা সরাসরি থানায় এসে আমার সঙ্গে কথা বলবেন—কোনো দালাল বা তদবির ছাড়াই। বাহুবল মডেল থানায় দালাল, চাঁদাবাজ ও তৈলবাজদের কোনো স্থান নেই।”

তিনি আরও বলেন, “আমি জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই। মাদক, ইয়াবা, মদ ও জুয়ারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি গ্রাম্য দাঙ্গা, ইভটিজিং ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সবসময় সজাগ থাকবে।”

বাহুবলবাসীর অনেকেই নবাগত ওসির এই কঠোর ও নীতিনিষ্ঠ অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, তার নেতৃত্বে থানায় স্বচ্ছতা, ন্যায়বিচার ও জনআস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ
error:

বাহুবলে দুর্নীতিবাজ ও দালাল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন নবাগত ওসি আমিনুল ইসলাম

আপডেট সময় ১০:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্কঃ

হবিগঞ্জের বাহুবল মডেল থানার নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই থানার ভেতরে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও দালাল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছেন।

রোববার দায়িত্ব গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “যারা থানায় চাঁদাবাজি, তদবির বা অনৈতিক কাজে জড়িত থাকবে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। থানা কোনো দালালের আশ্রয়স্থল নয়। এই থানাকে নির্যাতিত, নিরীহ ও অসহায় মানুষের ভরসার জায়গা হিসেবে গড়ে তুলব।”

ওসি আমিনুল ইসলাম আরও জানান, যোগদানের পর প্রথম অভিযানেই ১৫ কেজি গাঁজাসহ একাধিক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, বাহুবল উপজেলাকে মাদকমুক্ত রাখতে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।

স্থানীয় জনগণের উদ্দেশে ওসি আমিনুল বলেন, “যারা সমস্যায় আছেন, তারা সরাসরি থানায় এসে আমার সঙ্গে কথা বলবেন—কোনো দালাল বা তদবির ছাড়াই। বাহুবল মডেল থানায় দালাল, চাঁদাবাজ ও তৈলবাজদের কোনো স্থান নেই।”

তিনি আরও বলেন, “আমি জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই। মাদক, ইয়াবা, মদ ও জুয়ারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি গ্রাম্য দাঙ্গা, ইভটিজিং ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সবসময় সজাগ থাকবে।”

বাহুবলবাসীর অনেকেই নবাগত ওসির এই কঠোর ও নীতিনিষ্ঠ অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, তার নেতৃত্বে থানায় স্বচ্ছতা, ন্যায়বিচার ও জনআস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে।