
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বুল্লা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কৃষকদের কাছে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন সার ডিলারের বিরুদ্ধে। সরকারি বিধি অনুযায়ী ক্যাশ মেমো দিয়ে নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রির কথা থাকলেও এসব নিয়মকে উপেক্ষা করে প্রতিটি বস্তায় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কৃষকদের দাবি—ডিলাররা ক্যাশ মেমোতে সরকার নির্ধারিত দাম লিখে দিলেও পেছনে আলাদা করে ৪০০–৪৫০ টাকা বাড়তি আদায় করা হয়। শুধু তাই নয়, মেয়াদোত্তীর্ণ কিটনাশকও জোর করে কেনার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিটনাশক না নিলে অতিরিক্ত ২০০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, সারের চাহিদা বেশি থাকায় ডিলারদের সিন্ডিকেটের কারণে বাধ্য হয়েই উচ্চ দামে সার কিনতে হচ্ছে। ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে খুচরা ডিলার থাকলেও বড় ডিলারদের আধিপত্যে খুচরা বিক্রেতারাও সমস্যায় পড়েছেন। এতে কৃষিকাজের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় নানা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন কৃষকেরা।
বুল্লা গ্রামের কৃষক আদম খা বলেন, “সরকারি দামে ইউরিয়া সারের বস্তা ১৩৫০ টাকা। কিন্তু বুল্লা বাজারের ‘মেসার্স ফায়েজ ট্রেডার্স’ ১৭৫০ টাকা নিচ্ছে। বস্তাপ্রতি ৪০০–৪৫০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। এতে চাষাবাদ করা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।”
আরেক কৃষক হারুন মিয়া বলেন, “মৌসুমের শুরুতেই কেজি প্রতি ৪–৫ টাকা বেশি দিয়ে সার কিনতে হচ্ছে। উৎপাদন খরচ আদৌ সামলানো যাচ্ছে না। এভাবে চললে কৃষিকাজ করা দায় হয়ে পড়বে।”
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব সরকার বলেন, “সরকার নির্ধারিত দামের বাইরে সার বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। কেউ অতিরিক্ত দাম নিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কৃষকদের অভিযোগ ও উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা—ডিলারদের সিন্ডিকেট ভেঙে সার বিক্রি যেন সরকারি নিয়মেই হয়, যাতে ক্ষুদ্র কৃষকেরা স্বাভাবিক দামে কৃষিপণ্য উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারেন।
বাংলার খবর ডেস্ক : 






















