
বাংলার খবর ডেস্ক
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এমপি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ মিছিল করার সময় তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার বোন ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকেও আটক করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, সোমবার সকালে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আয়োজিত বিক্ষোভ রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাসহ বিরোধী দলের একাধিক সংসদ সদস্যকে আটক করে।
পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে পাওয়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, রাস্তায় বিপুল সংখ্যক কংগ্রেস কর্মী স্লোগান দিচ্ছেন। কেউ বসে আছেন, কেউ পতাকা ও ব্যানার হাতে পুলিশ ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করছেন।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট সকালে মিছিল নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গেলে, পার্লামেন্ট এলাকা ঘিরে রাখা হয়। পুলিশের বাধায় মিছিল থেমে যায়। তখন রাহুল গান্ধী, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব ও শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউতসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা রাস্তায় বসে পড়েন।
বিক্ষোভের কারণে সোমবার ভারতীয় পার্লামেন্টের দুই কক্ষই দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, ক্ষমতাসীন বিজেপি ও নির্বাচন কমিশন যোগসাজশ করে ভোটার তালিকা কারসাজি ও ভোট জালিয়াতি করছে। এ অভিযোগ শুরু হয় গত বছরের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন থেকে। বিরোধীদের দাবি, নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা বদলে বিজেপির জয় নিশ্চিত করেছে এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচনের ছয় মাসের মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে নতুন ভোটার সংখ্যা বেড়ে গেছে।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে নির্বাচন কমিশন বলেছে, তাদের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং স্বাধীন নির্বাচন নিশ্চিত করতেই এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারা রাহুল গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, প্রমাণ থাকলে তা যেন হলফনামায় জমা দেন।