ঢাকা ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুনারুঘাটের সাতছড়ি বন থেকে তিন লাখ টাকার সেগুনগাছ চুরি

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে একটি মূল্যবান সেগুনগাছ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৮ জুন) সকালে বন বিভাগের কর্মীরা বিষয়টি নজরে আনেন।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সূত্রে জানা যায়, উদ্যানসংলগ্ন পুরনো ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের পাশে চন্ডিছড়া বাগানের সীমায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় ৩০–৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের সেগুনগাছটি রাতের আঁধারে কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। এর বাজারমূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা। সকালবেলা বন কর্মীরা গিয়ে কেবল গাছের গোড়া পড়ে থাকতে দেখেন, বাকি অংশ নিয়ে গেছে চোরেরা।

স্থানীয় বাসিন্দা আকাশ দেববর্মা জানান, শুধু একটি নয়, সম্প্রতি উদ্যানের ১৬ নম্বর সেকশনের ভেতর থেকেও প্রায় ১০–১২টি সেগুনগাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, “বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মী এসব গাছচুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে ঢেকে রাখেন।”

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, “সাতছড়ি বনে পর্যাপ্ত বন প্রহরী ও রাত্রিকালীন টহল দল থাকলেও এভাবে গাছচুরি হওয়া বিস্ময়কর। এটা নিশ্চয়ই চক্রান্ত এবং দায়িত্বে গাফিলতির পরিচায়ক।”

এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যদি সত্যি গত শনিবার গাছটি কাটা হয়ে থাকে, তবে এতদিন বন বিভাগের কর্মীরা তা গোপন রাখলেন কেন? সাতছড়ি ও রেমা-কালেঙ্গা শুধু বন নয়, হবিগঞ্জের অক্সিজেন সরবরাহকারী। পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন ও কার্যকর হতে হবে।”

এদিকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুন উর রশীদের বরাতে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মীর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “গাছ চুরির ঘটনা আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। বন আইন অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। প্রয়োজনে মামলা দায়ের করা হবে।”

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

error:

চুনারুঘাটের সাতছড়ি বন থেকে তিন লাখ টাকার সেগুনগাছ চুরি

আপডেট সময় ০৯:৩৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে একটি মূল্যবান সেগুনগাছ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৮ জুন) সকালে বন বিভাগের কর্মীরা বিষয়টি নজরে আনেন।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সূত্রে জানা যায়, উদ্যানসংলগ্ন পুরনো ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের পাশে চন্ডিছড়া বাগানের সীমায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় ৩০–৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের সেগুনগাছটি রাতের আঁধারে কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। এর বাজারমূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা। সকালবেলা বন কর্মীরা গিয়ে কেবল গাছের গোড়া পড়ে থাকতে দেখেন, বাকি অংশ নিয়ে গেছে চোরেরা।

স্থানীয় বাসিন্দা আকাশ দেববর্মা জানান, শুধু একটি নয়, সম্প্রতি উদ্যানের ১৬ নম্বর সেকশনের ভেতর থেকেও প্রায় ১০–১২টি সেগুনগাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, “বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মী এসব গাছচুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে ঢেকে রাখেন।”

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, “সাতছড়ি বনে পর্যাপ্ত বন প্রহরী ও রাত্রিকালীন টহল দল থাকলেও এভাবে গাছচুরি হওয়া বিস্ময়কর। এটা নিশ্চয়ই চক্রান্ত এবং দায়িত্বে গাফিলতির পরিচায়ক।”

এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যদি সত্যি গত শনিবার গাছটি কাটা হয়ে থাকে, তবে এতদিন বন বিভাগের কর্মীরা তা গোপন রাখলেন কেন? সাতছড়ি ও রেমা-কালেঙ্গা শুধু বন নয়, হবিগঞ্জের অক্সিজেন সরবরাহকারী। পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন ও কার্যকর হতে হবে।”

এদিকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুন উর রশীদের বরাতে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মীর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “গাছ চুরির ঘটনা আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। বন আইন অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। প্রয়োজনে মামলা দায়ের করা হবে।”