
বাংলার খবর ডেস্ক
পাথর কোয়ারি পুনরায় চালুসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনরত পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে শুরু হওয়া এ বৈঠকে অংশ নেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরীসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
এর আগে গত ২ জুন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও রাজনীতিকদের নিয়ে বৈঠক হলেও সেখানে আরিফুল হক আমন্ত্রিত ছিলেন না। ওই সময় আরিফ কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশ করে জেলা প্রশাসকের প্রত্যাহার ও পাথর কোয়ারি চালুর দাবি জানিয়ে ৫ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন। তিনি ঘোষণা দেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ঘোষণা অনুযায়ী পরিবহন শ্রমিকরা ৫ জুলাই থেকে পণ্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেন এবং ৯ জুলাই সকাল থেকে সব ধরনের পরিবহন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল হক কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দেন। এরপর বিভাগীয় কমিশনারের উদ্যোগে মূল বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে আরিফুল হকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর জামায়াতের আমির ফখরুল ইসলামসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ও পরিবহন খাতের নেতৃবৃন্দ।
শ্রমিক-মালিকদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর অধীনে নির্ধারিত যানবাহনের ‘ইকোনোমিক লাইফ’ বাতিল করা, পাথর কোয়ারি ও বালু মহাল খুলে দেওয়া, বিআরটিএ-এর ফিটনেস সনদের ক্ষেত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বিলুপ্ত, পরিবহন খাতে বাড়তি কর প্রত্যাহার, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন বন্ধসহ ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং জেলা প্রশাসককে সিলেট থেকে প্রত্যাহার।
এছাড়া পণ্যবাহী যানবাহনের চালকদের হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে।