ঢাকা ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ইউএনও’র বিচক্ষণতায় সমাধান: ঘোলডুবা হাই স্কুলে ফিরলেন প্রধান শিক্ষক Logo মাধবপুরে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও প্রশ্ন প্রণয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার দুই লকার জব্দ Logo বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন মুনতাসির রহমান জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ফখরুলসহ ৪ রাজনীতিবিদ Logo প্রার্থী ঘোষণার প্রস্তুতি বিএনপির, মনোনয়নে থাকছে চমক Logo লাখাইয়ে অগ্নিকাণ্ডের ৬ দিন পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা Logo মাধবপুরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo নবীগঞ্জে বাসচাপায় মা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু, এলাকায় শোকের ছায়া Logo সাতছড়ির রেঞ্জ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত, বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

অস্থির নেপালের হাল ধরলেন সুশীলা কার্কি: বিচারপতি থেকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী

বাংলার খবর ডেস্ক:
বিক্ষোভ-সংঘর্ষে উত্তাল নেপালে সরকারের পতনের পর দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। এর মধ্য দিয়ে নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড গড়লেন তিনি।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাঠমান্ডুর প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেলের উপস্থিতিতে শপথ নেন কার্কি। অনুষ্ঠানে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানও উপস্থিত ছিলেন।

নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধকরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে টানা আন্দোলনের মুখে পতন ঘটে কেপি শর্মা ওলি সরকারের। বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে কার্কিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

তবে আন্দোলনের একাংশ তার বয়স (৭৩ বছর) ও সাবেক বিচারপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণ নিয়ে আপত্তি তুলেছিল। এমনকি কাঠমান্ডুর জনপ্রিয় মেয়র বালেন শাহ ও বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় খ্যাত প্রকৌশলী কুল মান ঘিসিংয়ের নামও আলোচনায় ছিল। শেষ পর্যন্ত সব বিতর্ক ছাপিয়ে সুশীলা কার্কিই অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব পান।

বিচারপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী

২০১৬ সালে নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন সুশীলা কার্কি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার কারণে তিনি আলোচনায় আসেন। জেপি গুপ্ত দুর্নীতি মামলার রায় দিয়ে তিনি জনসমর্থন পান। যদিও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগে তাকে অভিশংসন প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, যা পরে আদালত স্থগিত করে।

ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ও নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা কার্কি দীর্ঘদিন আইনজীবী হিসেবে কাজ করার পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন। বর্তমানে দুর্নীতি দমন, স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং তরুণ প্রজন্মের আস্থা ধরে রাখা তার বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউএনও’র বিচক্ষণতায় সমাধান: ঘোলডুবা হাই স্কুলে ফিরলেন প্রধান শিক্ষক

error:

অস্থির নেপালের হাল ধরলেন সুশীলা কার্কি: বিচারপতি থেকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ১১:৫৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্ক:
বিক্ষোভ-সংঘর্ষে উত্তাল নেপালে সরকারের পতনের পর দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। এর মধ্য দিয়ে নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড গড়লেন তিনি।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাঠমান্ডুর প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেলের উপস্থিতিতে শপথ নেন কার্কি। অনুষ্ঠানে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানও উপস্থিত ছিলেন।

নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধকরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে টানা আন্দোলনের মুখে পতন ঘটে কেপি শর্মা ওলি সরকারের। বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে কার্কিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

তবে আন্দোলনের একাংশ তার বয়স (৭৩ বছর) ও সাবেক বিচারপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণ নিয়ে আপত্তি তুলেছিল। এমনকি কাঠমান্ডুর জনপ্রিয় মেয়র বালেন শাহ ও বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় খ্যাত প্রকৌশলী কুল মান ঘিসিংয়ের নামও আলোচনায় ছিল। শেষ পর্যন্ত সব বিতর্ক ছাপিয়ে সুশীলা কার্কিই অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব পান।

বিচারপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী

২০১৬ সালে নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন সুশীলা কার্কি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার কারণে তিনি আলোচনায় আসেন। জেপি গুপ্ত দুর্নীতি মামলার রায় দিয়ে তিনি জনসমর্থন পান। যদিও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগে তাকে অভিশংসন প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, যা পরে আদালত স্থগিত করে।

ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ও নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা কার্কি দীর্ঘদিন আইনজীবী হিসেবে কাজ করার পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন। বর্তমানে দুর্নীতি দমন, স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং তরুণ প্রজন্মের আস্থা ধরে রাখা তার বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।