
লাখাই বাংলার খবর প্রতিনিধি*লাখাইয়ে ওরসের পবিত্রতা নষ্ট করে নৌকায় অশ্লীল নাচ-গানের ঘটনায় ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। খরমপুরের শাহ্ ছৈয়দ আহাম্মদ গেছুদারাজ (রহ.) ওরফে কেল্লা বাবার মাজারে বার্ষিক ওরসের সময় কিছু যুবক ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ভঙ্গ করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এর ফলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের পাশাপাশি সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গতকাল বুধবার ধর্মপুর জিরাইন্নাখালে এই ঘটনা ঘটে। ধর্মপুর পুকুরপাড়ে *একতা যুব কল্যাণ সংস্থা*, *বন্ধুমহল*, *ধর্মপুর আদর্শ সমাজ কল্যাণ যুব সংগঠন* এবং *ভাইভাই যুব সংঘ*—এই চারটি সংগঠন এই অশ্লীল নাচ-গানের আয়োজন করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, যুবকেরা লুঙ্গি, টিশার্ট, গামছা বা প্যান্ট পরে উচ্চস্বরে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিতে নাচ-গান করছে।
স্থানীয়রা জানান, গত জুম্মার নামাজের সময় মসজিদের নির্দেশনা ছিল যে ওরসে অশ্লীল নাচ-গানের কোনো আয়োজন করা যাবে না। কিন্তু কিছু উঠতি বয়সী যুবক তা অমান্য করেছে। স্থানীয় যুবক মিসবাহ উদ্দিন বলেন, “সকাল ৭টায় আমরা ইমাম সাহেবকে নিয়ে আয়োজকদের বাধা দিতে গিয়েছিলাম। তারা সাময়িকভাবে বন্ধ করলেও আমরা চলে আসার পর আবার শুরু করেছিল।”
ইসলামী নীতি অনুযায়ী ওরস বা মাজারে জিয়ারত একটি পবিত্র ধর্মীয় আচার। সেখানে অশ্লীল কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণভাবে গর্হিত। এই ধরনের কর্মকাণ্ড সমাজের শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে। পূর্বে উপজেলার শিবপুর গ্রামে নৌকায় উচ্চস্বরে নাচ-গানের কারণে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষও ঘটেছিল।
স্থানীয় ধর্মীয় নেতারা ও সচেতন নাগরিকরা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
লাখাই থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত কৃষ্ণ চন্দ্র মিত্র জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখবে পুলিশ, তবে পূর্বে কেউ আমাদের অবগত করেনি।