
বাংলার খবর প্রতিনিধি, লাখাই, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি ইউনিয়নের সুবিদপুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের একটি অংশ ভেঙে যাওয়ায় তিন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই স্থানীয় মেম্বার হিরাই মিয়া ড্রেনেজ পাইপ বসাতে গিয়ে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, গত রবিবার ওয়ার্ড মেম্বার হিরাই মিয়া গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তাটির নিচ দিয়ে ড্রেনেজ পাইপ বসানোর চেষ্টা করেন। অনুমোদন ও প্রকৌশল পরামর্শ ছাড়া এমন উদ্যোগের ফলে সড়কের নিচের মাটি ধসে যায় এবং মুহূর্তেই রাস্তার মাঝখান দিয়ে বিভক্ত হয়ে যায়। এতে লাখাই, নাসিরনগর ও মাধবপুর উপজেলার একাধিক গ্রামের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সুবিদপুর, লক্ষ্মীপুর ও ধরমণ্ডল এলাকার হাজারো মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করে। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়েছে ভোগান্তিতে। শিশু শিক্ষার্থীরা বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো পেরিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়ায় কৃষিপণ্য পরিবহনেও তৈরি হয়েছে বড় ধরনের সমস্যা।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মেম্বারের অবৈধ ও অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তেই এমন বিপর্যয়। কেউ কেউ বলেন, “আমাদের সন্তানদের এখন বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে। এটা কতটা নিরাপদ?”
এ বিষয়ে মেম্বার হিরাই মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে দায় এড়িয়ে ইঁদুরের গর্তকে দায়ী করেন। তবে পরে স্বীকার করেন যে পাইপ বসানোর সময়ই রাস্তাটি ভেঙে যায়।
২ নম্বর মুড়াকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সল মোল্লা বলেন, “স্থানীয়দের অনুরোধে মেম্বারসহ কিছু লোক পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ বসাতে গিয়ে সড়কের ক্ষতি করেছে।”
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাস অনুপ-এর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছে।