
বাংলার খবর ডেস্কআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘জুলাই গণহত্যা’র বিচার প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আমরা বিচার কাজ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পরিচালনা করছি। শহীদদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতেই কোনো রকম কলঙ্ক ছাড়া এ বিচার শেষ করতে চাই।
সোমবার (৩০ জুন) মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির বার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের সময় মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়। আহতদের অনেকেই পঙ্গু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেই সময় হাসপাতালে যান তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা। সেখানে সব মিডিয়াকে বাইরে রেখে তিনি আহতদের সামনে গিয়ে থুতু ছিটিয়ে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডাক্তার ও নার্সদের কঠোরভাবে বলা হয়—জুলাই বিপ্লবে আহতদের যেন চিকিৎসা না দেওয়া হয়। আমরা একটি ভয়াবহ কালো অধ্যায় অতিক্রম করেছি। সেইসব আহত মানুষ এবং প্রত্যক্ষদর্শী ডাক্তার-নার্স আজও সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত।’
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিচার বিভাগ ধ্বংসের অন্যতম কারিগর ছিলেন বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। তার দেওয়া ত্রয়োদশ সংশোধনী রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ রায় দিনের ভোট রাতে করার অপসংস্কৃতি চালু করেছে।
তিনি আরও বলেন, “আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব” — এই অধিকারকে দমন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হয়েছে। দেশে বিচারহীনতার বীজ বপন হয়েছে, শুরু হয়েছে খুনের রাজনীতি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ খাদেম উল কায়েস, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এনায়েত কবির সরকার, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গির হোসেনসহ অনেকে।