ঢাকা ০১:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ঈদ রাঙুক মেহেদিতে,লাখাই ঈদের আগে মেহেদির বাজার জমে উঠেছে Logo ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল ইসলাম Logo সীমান্তে চামড়া পাচার ও পুশইন রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতায় বিজিবি: লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিলুর রহমান Logo মাধবপুরে সেনা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ৪৬ বোতল মদসহ নারী আটক Logo হবিগঞ্জ জেলা এনসিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সংগঠনে ফ্যাসিবাদের-দোসরদের ঠাই নেই Logo মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার Logo হঠাৎ ভারতীয় ঢলের পানিতে প্লাবিত নবীগঞ্জের গ্রামগুলো, আশ্রয় কেন্দ্রে ৩০ পরিবার Logo হবিগঞ্জ-লাখাই অংশ স্থায়ীভাবে বাদ পড়েনি: আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রকল্পে আশ্বাস দিলেন যোগাযোগ উপদেষ্টা Logo মাধবপুরে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা: মোবাইল কোর্টে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা Logo সরাইল ব্যাটালিয়নের অভিযান এক মাসে সাড়ে ৯ কোটি টাকার মাদক ও চোরাচালানী মালামাল আটক

হঠাৎ ভারতীয় ঢলের পানিতে প্লাবিত নবীগঞ্জের গ্রামগুলো, আশ্রয় কেন্দ্রে ৩০ পরিবার

Oplus_131072

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:
টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর পানি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত করেছে দীঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর, মাধবপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এতে অন্তত ৩০টি পরিবার গালিমপুর-মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মো. ফরিদুর রহমান প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারগুলোর মাঝে সরকারি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার, নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

আশ্রয় নেওয়া ৫০টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয় ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, চিনি, লবণ, ১ লিটার সয়াবিন তেল, মরিচ, হলুদ ও ধনিয়া গুঁড়াসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য। এছাড়া, ৩ টন চাল ও ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক ড. ফরিদুর রহমান বলেন, “সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, কেউ যেন দুর্যোগকালে অভুক্ত না থাকে তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে। যতদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, ততদিন ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”

স্থানীয় বাসিন্দারা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের এ মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে জানা গেছে, কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৮.৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। কসবা, আউশকান্দি ও ইনাতগঞ্জের কয়েকটি গ্রামও ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

নবীগঞ্জ ইউএনও রুহুল আমীন বলেন, “হঠাৎ করে ভারতীয় সীমান্ত থেকে নেমে আসা পানিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এটি স্থানীয় বর্ষার পানি নয় বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে।”

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদ রাঙুক মেহেদিতে,লাখাই ঈদের আগে মেহেদির বাজার জমে উঠেছে

error:

হঠাৎ ভারতীয় ঢলের পানিতে প্লাবিত নবীগঞ্জের গ্রামগুলো, আশ্রয় কেন্দ্রে ৩০ পরিবার

আপডেট সময় ০৬:১৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:
টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর পানি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত করেছে দীঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর, মাধবপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এতে অন্তত ৩০টি পরিবার গালিমপুর-মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মো. ফরিদুর রহমান প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারগুলোর মাঝে সরকারি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার, নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

আশ্রয় নেওয়া ৫০টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয় ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, চিনি, লবণ, ১ লিটার সয়াবিন তেল, মরিচ, হলুদ ও ধনিয়া গুঁড়াসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য। এছাড়া, ৩ টন চাল ও ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক ড. ফরিদুর রহমান বলেন, “সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, কেউ যেন দুর্যোগকালে অভুক্ত না থাকে তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে। যতদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, ততদিন ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”

স্থানীয় বাসিন্দারা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের এ মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে জানা গেছে, কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৮.৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। কসবা, আউশকান্দি ও ইনাতগঞ্জের কয়েকটি গ্রামও ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

নবীগঞ্জ ইউএনও রুহুল আমীন বলেন, “হঠাৎ করে ভারতীয় সীমান্ত থেকে নেমে আসা পানিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এটি স্থানীয় বর্ষার পানি নয় বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে।”