ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সৌদিতে ভিসা বিরোধে গণধোলাইয়ের জেরে মাধবপুরে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত শতাধিক Logo নবীগঞ্জে বিনামূল্যে টাইফয়েড ভ্যাক্সিন পাবে লক্ষাধিক শিশু Logo লাখাইয়ে ওরসের নামের নৌকায় অশ্লীল নাচ-গান, ধর্মপ্রাণরা ক্ষুব্ধ Logo বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতাসহ কয়েকটি দাবি পূরণের আশ্বাসে শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত Logo ১৯ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে বিটিভির জনপ্রিয় শিশু-কিশোর অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’ Logo এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় লাখাইয়ের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, যুক্তিসঙ্গত ভাতারও দাবি Logo মাধবপুরে এনজিওর টাকা আত্মসাৎ: দুইজনের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড Logo লাখাইয়ে সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা Logo নবীগঞ্জে শিশু পার্ক ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন Logo নির্ধারিত সরকারি ফি ছাড়া বেশি নিলে পরদিন সচিবকে বদলি- নবীগঞ্জে জেলা প্রশাসক

হঠাৎ ভারতীয় ঢলের পানিতে প্লাবিত নবীগঞ্জের গ্রামগুলো, আশ্রয় কেন্দ্রে ৩০ পরিবার

Oplus_131072

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:
টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর পানি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত করেছে দীঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর, মাধবপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এতে অন্তত ৩০টি পরিবার গালিমপুর-মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মো. ফরিদুর রহমান প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারগুলোর মাঝে সরকারি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার, নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

আশ্রয় নেওয়া ৫০টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয় ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, চিনি, লবণ, ১ লিটার সয়াবিন তেল, মরিচ, হলুদ ও ধনিয়া গুঁড়াসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য। এছাড়া, ৩ টন চাল ও ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক ড. ফরিদুর রহমান বলেন, “সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, কেউ যেন দুর্যোগকালে অভুক্ত না থাকে তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে। যতদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, ততদিন ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”

স্থানীয় বাসিন্দারা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের এ মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে জানা গেছে, কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৮.৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। কসবা, আউশকান্দি ও ইনাতগঞ্জের কয়েকটি গ্রামও ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

নবীগঞ্জ ইউএনও রুহুল আমীন বলেন, “হঠাৎ করে ভারতীয় সীমান্ত থেকে নেমে আসা পানিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এটি স্থানীয় বর্ষার পানি নয় বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে।”

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

সৌদিতে ভিসা বিরোধে গণধোলাইয়ের জেরে মাধবপুরে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত শতাধিক

error:

হঠাৎ ভারতীয় ঢলের পানিতে প্লাবিত নবীগঞ্জের গ্রামগুলো, আশ্রয় কেন্দ্রে ৩০ পরিবার

আপডেট সময় ০৬:১৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:
টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর পানি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত করেছে দীঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর, মাধবপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এতে অন্তত ৩০টি পরিবার গালিমপুর-মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মো. ফরিদুর রহমান প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারগুলোর মাঝে সরকারি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার, নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

আশ্রয় নেওয়া ৫০টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয় ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, চিনি, লবণ, ১ লিটার সয়াবিন তেল, মরিচ, হলুদ ও ধনিয়া গুঁড়াসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য। এছাড়া, ৩ টন চাল ও ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক ড. ফরিদুর রহমান বলেন, “সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, কেউ যেন দুর্যোগকালে অভুক্ত না থাকে তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে। যতদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, ততদিন ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”

স্থানীয় বাসিন্দারা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের এ মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে জানা গেছে, কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৮.৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। কসবা, আউশকান্দি ও ইনাতগঞ্জের কয়েকটি গ্রামও ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

নবীগঞ্জ ইউএনও রুহুল আমীন বলেন, “হঠাৎ করে ভারতীয় সীমান্ত থেকে নেমে আসা পানিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এটি স্থানীয় বর্ষার পানি নয় বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে।”