
মোঃ সাগর আহমেদ, নবীগঞ্জ( হবিগঞ্জ)
পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নবীগঞ্জে কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে। নবীগঞ্জ পৌর এলাকার সালামতপুর,ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট ধীরে ধীরে সরগরম হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন আপাতত ক্রেতা কম থাকলেও দুই একদিনের মধ্যে জমজমাট হয়ে উঠবে পশুর হাট।
গত মঙ্গলবার ছিল নবীগঞ্জ পৌর পশুর হাট। উক্ত পশুর হাটে শুক্রবার ও মঙ্গলবার হাট বসে। ওই বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপছেপড়া ভীর ছিল। তবে এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি হওয়ায় ক্রয় বিক্রয় তেমন হচ্ছে না।
ঈদের আর মাত্র ৩ দিন বাকী, তাই পশুর হাটের ভীড় ও আস্তে আস্তে বেড়েই চলছে। শেষ মুহুর্তে আরো বেশী ভীড় হবে এবং রাত ১১/১২ পর্যন্ত বেচা কেনা চলবে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও গরুর বাজার কর্তৃপক্ষ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সম্পূর্ন হাট ছিল গরু,ছাগল পশুতে পরিপূর্ন। তবে এবার দাম বেশী থাকায় মধ্যবিত্ত এবং নিন্মবিত্ত মানুষকে হিমশীম খেতে দেখা গেছে। অন্য বছরের তুলনায় গরুর দাম বিক্রেতারা বেশি চাচ্ছে । অনেককে কোরবানীর পশু না কিনে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে। তবে আরো কয়েক দিন অপেক্ষা করে কোরবানীর পশু কিনবেন বলে জানিয়েছেন অনেকে।
বাজারে দাম বেশী থাকায় অনেক বিক্রেতাকে ও তাদের আমদানীকৃত গরু বিক্রি না করে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। এদিকে, ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি ছোয়ায় আরো একদাপ এগিয়ে জমে উটেছে পশুর হাট।ভিডিও কলের মাধ্যমে বিদেশে অথবা বাড়িতে থাকা লোকজনকে গরু দেখাচ্ছেন এবং তারা ভিডিও কলে গরু দেখে দেখে পছন্দ করছেন কোনটা কিনবেন। এ ছাড়াও অনেকেই গরুর ছবি তুলে হোয়াটসআপের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের শেয়ার করছেন।উপজেলার ঘোলডুবা গ্রামের ক্রেতা আলমগীর মিয়া জানান- বাজারে দাম খুব বেশী তাই কোরবানীর গরু কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। আগামী বাজারে দাম আরো কমতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
উপজেলার জাইদপুর গ্রামের গরু বিক্রেতা কাদির মিয়া জানান- বাজারের দাম একটু বেশী হওয়ায় অনেক ক্রেতা কোরবানীর পশু না কিনে চলে যাচ্ছেন। যার ফলে আমরা আশানুরূপ বিক্রি না করতে পারায় সেগুলো নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। একটি গরু ৯০ হাজার টাকা দাম চাইলে ও ক্রেতারা ৫০/৬০ হাজার টাকা দাম করেছেন। তাই বিক্রি করতে পারিনি। তবে ঈদের আগের ৩/৪ দিন বাজার আরো অনেক ভাল হবে বলে আশা করছি।
নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কমকর্তার অফিসার সাইফুর রহমান জানান, নবীগঞ্জে পশু কোরবানি চাহিদা প্রায় ১৫ হাজার ৫শত যা লালন পালন হয়েছে সাড়ে ১৬ হাজারের অধিক বেশি পশু রয়েছে।
তিনি আরও জানান,কোরবানির পশুর কোনো সংকট নেই,পর্যাপ্ত পশু আছে। এর পাশাপাশি অনেকেই কোরবানির সময় গৃহপালিত পশু বিক্রি করেন। কোনো অসুস্থ পশু হাটে না আসে এবং বিক্রি করতে না পারে তার জন্য নজরদারি বাড়ানোর হয়েছে।
আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।