
পারভেজ হাসান, লাখাই প্রতিনিধি:
লাখাই উপজেলার ৫ নম্বর করাব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা সুচিত্রা রানীর বিরুদ্ধে অর্থ দাবি, রোগীর সাথে দুর্ব্যবহার ও অবৈধভাবে ওষুধ বিক্রির অভিযোগে এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি একজন প্রসূতি মাকে ‘ভিক্ষুক’ এবং ‘ব্যাঙের’ সঙ্গে তুলনা করে কটূক্তিও করেছেন।
গত ১০ ডিসেম্বর সকালে পূর্ব সিংহ গ্রাম থেকে এক গর্ভবতী মা ডেলিভারির জন্য করাব ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলে পৌঁছামাত্রই তার সন্তান জন্ম হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, সন্তান প্রসবের পরই পরিদর্শিকা সুচিত্রা রানী ওষুধের দাম, ব্যক্তিগত বকশিশ এবং পাহারাদার ও ঝাড়ুদারের খরচ বাবদ টাকা দাবি করেন। রোগী ও স্বজনরা ওষুধ লাগেনি জানালে তিনি আরও টাকা দাবি করেন এবং কম নিতে অনুরোধ করায় কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রসূতি মায়ের ভাই বাধ্য হয়ে তাকে ১,৫০০ টাকা দেন। তবে টাকা নেওয়ার পরও তিনি গালাগালি করতে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও সুচিত্রা রানীর বিরুদ্ধে নিয়মিত রোগীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার এবং ক্লিনিকের ভেতরেই নিজে ওষুধ বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। রোগীস্বজনদের ভাষ্য—তিনি কাউকে ৩,০০০ টাকা, কাউকে ২,৫০০ টাকা, কেউ ২,০০০ টাকার নিচে ছাড়া পান না।
অভিযোগের বিষয়ে সুচিত্রা রানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন, তবে দাবি করেন—জরুরি রোগীদের জন্য ওষুধ এনে রাখেন।
এদিকে কেন্দ্রটিতে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবাধ আনাগোনা ও দৌরাত্ম্য রোগীদের ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে তুলেছে। নিয়ম অনুযায়ী অফিস চলাকালে রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও তা মানা হচ্ছে না। সুচিত্রা রানীর কক্ষের সামনে প্রায়ই কোম্পানির লোকজনের ভিড় দেখা যায়।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাইমুর রহমান পিয়াসকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবারই ‘বিষয়টি দেখবেন’ বলে মন্তব্য করেন।
জনগণের প্রশ্ন—এত অভিযোগের পরও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? কর্তৃপক্ষের এই নীরবতা কি অনিয়মে জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেয়?
বাংলার খবর ডেস্ক : 






















