
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জ–৪ (মাধবপুর–চুনারুঘাট) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সলের সমর্থনে শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যাপক গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী এই প্রচারণায় মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, গ্রামাঞ্চল এবং মাধবপুর বাজার এলাকায় নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ এদিন বিশেষভাবে দৃষ্টি কেড়েছে।
শনিবার সকালে মাধবপুর বাজার এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগের নেতৃত্ব দেন প্রার্থীর কনিষ্ঠ ভাই, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মোঃ শাহজাহান। বাজারের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভোটারদের কাছে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চান। এ সময় বাজারজুড়ে বিপুল সংখ্যক নারী ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে নেতাকর্মীরা এ নির্বাচনে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
নেতারা জানান, নারী ভোটারদের উৎসাহিত করাই এবারের প্রচারণার অন্যতম লক্ষ্য। গত ১৭ বছর ভোটাররা নিজেরা গিয়ে ভোট দিতে পারেননি। তাই জনগণকে আবারও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে উদ্বুদ্ধ করাই বিএনপির প্রধান কৌশল।
গণসংযোগে অংশ নেওয়া সৈয়দ মোঃ শাহজাহান বলেন, “আমাদের আসনের উন্নয়ন এবং সঠিক নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় অত্যন্ত প্রয়োজন। আমরা বাড়ি–বাজার–গ্রাম চষে বেড়িয়ে প্রত্যেক ভোটারকে তাদের অধিকার প্রয়োগে উৎসাহিত করছি। সরাসরি সংযোগ ছাড়া নির্বাচনে প্রকৃত সমর্থন পাওয়া যায় না।” এ সময় পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আলরনি সহ বহু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, রোববার শাহজাহানপুর ইউনিয়নে ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভাটিকে সফল করতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলফাজ মিয়ার নেতৃত্বে দিনভর মিছিল, লিফলেট বিতরণ এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণা চালানো হয়। স্থানীয় নেতারা জানান, ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি তুলে ধরতে এই সভা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অন্যদিকে তেলিয়াপাড়া ও সুরমা চা বাগান এলাকায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা কামাল বাবুলের নেতৃত্বে চা শ্রমিকদের সঙ্গে গণসংযোগ করা হয়। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বাবুল জানান, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন, মজুরি কাঠামো সংস্কার এবং মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাই ধানের শীষ প্রার্থীর প্রধান অঙ্গীকার। শ্রমিকরাও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দেন এবং নিজেরাই ভোট দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
দিনব্যাপী এসব গণসংযোগকে উপজেলা বিএনপি ও বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটির নেতারা সুশৃঙ্খল ও ফলপ্রসূ রাজনৈতিক কার্যক্রম হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাদের মতে, গ্রাম–পাড়া–বাজারে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করায় জনগণের মাঝে নির্বাচনী ইস্যু সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ছে এবং ধানের শীষ প্রতীকের প্রতি সমর্থন আরও সুদৃঢ় হচ্ছে।
নেতাকর্মীরা আশা করছেন, ধারাবাহিক গণসংযোগের মাধ্যমে নির্বাচনের আগেই জনগণের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হবে। সরাসরি মানুষের সমস্যা শোনা ও সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ফলে ভোটাররা এবার তাদের ভোটাধিকার যথাযথভাবে প্রয়োগ করবেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা আরও বলেন, ভোটারদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ বজায় থাকলে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে বিপুল সমর্থন পাওয়া যাবে এবং নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে।
বাংলার খবর ডেস্ক : 
























