
বাংলার খবর ডেস্ক: দীর্ঘ ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি মোট ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের ৫ হাজার ৭০৮ ভোটকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেন।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত এস এম ফরহাদ। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট। সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয়ী হয়েছেন মহিউদ্দিন খান, যিনি ১১ হাজার ৭৭২ ভোট সংগ্রহ করেন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ফাতেমা তাসনিম জুমা, পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৩১ ভোট।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
এবারের নির্বাচনে বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করেছে শিবির সমর্থিত প্যানেল। তবে কিছু পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও জয়লাভ করেছেন। বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা নিচে দেওয়া হলো:
সহসভাপতি (ভিপি) – আবু সাদিক কায়েম (শিবির সমর্থিত)
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) – এস এম ফরহাদ (শিবির সমর্থিত)
সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) – মহিউদ্দিন খান (শিবির সমর্থিত)
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক – ফাতেমা তাসনিম জুমা (শিবির সমর্থিত)
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক – ইকবাল হায়দার (শিবির সমর্থিত)
কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক – উম্মে ছালমা (শিবির সমর্থিত)
আন্তর্জাতিক সম্পাদক – জসীমউদ্দিন খান (শিবির সমর্থিত)
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক – মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ (স্বতন্ত্র)
গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক – সানজিদা আহমেদ তন্বি (স্বতন্ত্র)
ক্রীড়া সম্পাদক – আরমান হোসেন (শিবির সমর্থিত)
ছাত্র পরিবহন সম্পাদক – আসিফ আব্দুল্লাহ (শিবির সমর্থিত)
সমাজসেবা সম্পাদক – যুবাইর বিন নেছারী (স্বতন্ত্র)
ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক – মাজহারুল ইসলাম (শিবির সমর্থিত)
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক – আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ (শিবির সমর্থিত)
মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক – মো. জাকারিয়া (শিবির সমর্থিত)
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে মোট ২৮টি পদে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, এর মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ৬২ জন। ভিপি পদে ৪৫ জন, জিএস পদে ১৯ জন এবং এজিএস পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন, এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।