
বাংলার খবর ডেস্ক: জুলাই গণহত্যা মামলায় দায় স্বীকারের পর রাজসাক্ষী হওয়ায় শর্তসাপেক্ষে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আদেশ অনুযায়ী, মামুনকে তার নিজের এবং সংশ্লিষ্ট অন্য অভিযুক্তদের অপরাধের তথ্য ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করতে হবে। তার নিরাপত্তার জন্য তাকে অন্যান্য বন্দিদের থেকে আলাদা রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের প্রকাশিত আদেশে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত মামুন আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন যে তিনি পুরো ঘটনাপ্রবাহ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিষয়ে সত্য তথ্য প্রকাশ করবেন। এই বিবেচনায় তাকে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা দেওয়া হয়।
এর আগে মামুনের আইনজীবী তার পক্ষে ক্ষমার আবেদন করেন। প্রধান প্রসিকিউটর এতে সম্মতি দেন শর্তসাপেক্ষে—যে অভিযুক্ত সব তথ্য সৎভাবে আদালতে তুলে ধরবেন, যা বিচারকাজে সহায়তা করবে।
আদালতের আদেশে বলা হয়, অভিযুক্ত মামুন নিজেকে দোষী মেনে নিয়ে রাজসাক্ষী হিসেবে কাজ করতে রাজি হয়েছেন। তাই ট্রাইব্যুনাল তাকে ক্ষমা করেছে। তবে শর্ত অনুযায়ী তথ্য না দিলে ক্ষমা বাতিল হতে পারে।
গত ১০ জুলাই মামুন আদালতে বলেন, “জুলাই-আগস্টের আন্দোলন চলাকালে আমাদের বিরুদ্ধে যে হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে, তা সত্য। আমি দোষ স্বীকার করছি এবং সব কিছু আদালতের সামনে তুলে ধরতে চাই।”
আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ বলেন, “রাজসাক্ষী হিসেবে মামুন যদি সত্য ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য ট্রাইব্যুনালে দেন, তবেই এ ক্ষমার আদেশ কার্যকর হবে।”
এই ঘটনায় আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে, মামুনকে আলাদা নিরাপত্তায় রাখতে হবে এবং যথাসময়ে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির করতে হবে।