ঢাকা ০২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ‘আপনাদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে’—সত্য হলো খালেদা জিয়ার সেই কান্নাজড়িত বক্তব্য Logo এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রার্থীর প্রচারে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ চান ডিসিরা Logo দেশে কোনো নারীর ফাঁসি কার্যকর করার নজির নেই Logo কমলগঞ্জে গ্রামবাংলা সমাজকল্যাণ পরিষদের বিনামূল্যে চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত Logo বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট সালেহ উদ্দিন আহম্মেদের ইন্তেকাল: এলাকায় শোকের ছায়া Logo মাধবপুর–চুনারুঘাটে শিক্ষা–স্বাস্থ্য–যোগাযোগে বিপ্লব ঘটাতে চাই — বিএনপি প্রার্থী সৈয়দ মোঃ ফয়সল Logo রাতে বৈঠক ডাকল বিএনপির স্থায়ী কমিটি Logo হবিগঞ্জে ট্রাক–কাভার্ডভ্যানে পাথরের নিচে লুকানো সাড়ে তিন কোটি টাকার ভারতীয় চোরাচালান পণ্য জব্দ Logo জুলাই হত্যা: ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে’ শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড Logo আদালত ও জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক আইজিপি মামুন

মাধবপুরে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে প্রশাসনের কঠোর অভিযান: জরিমানা ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৯ জনের কারাদণ্ড

বাংলার খবর ডেস্ক :

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ড্রেজিংয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযানে বড় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে চলতি নভেম্বর পর্যন্ত বিগত ১০ মাসে ‘বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০’ অনুযায়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে একাধিক অভিযান পরিচালিত হয়।

এ সময়ে নদী, খাল ও সরকারি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে মোট ৪৪টি অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসব অভিযানে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং আইন অমান্য করার দায়ে ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

অভিযানে ২৫টি অবৈধ ড্রেজার মেশিন অপসারণ ও ৪টি ড্রেজার জব্দ করা হয়। এছাড়া প্রায় ১০ হাজার ফুট পাইপ অপসারণ, ২৩টি ট্রাক্টর ও ২টি এক্সকাভেটর আটক করা হয়েছে। অবৈধ বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ৭টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুল ইসলাম বলেন,
“অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পাচার রোধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারা আইন অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ বিন কাশেম বলেন,
“অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। পরিবেশ রক্ষা, নদীভাঙন প্রতিরোধ ও জনস্বার্থে প্রশাসন বদ্ধপরিকর।”

প্রশাসনের এ কঠোর পদক্ষেপে স্থানীয় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকলে মাধবপুরে অবৈধ বালু ব্যবসা বন্ধ হবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ

‘আপনাদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে’—সত্য হলো খালেদা জিয়ার সেই কান্নাজড়িত বক্তব্য

error:

মাধবপুরে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে প্রশাসনের কঠোর অভিযান: জরিমানা ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৯ জনের কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৯:৪২:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্ক :

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ড্রেজিংয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযানে বড় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে চলতি নভেম্বর পর্যন্ত বিগত ১০ মাসে ‘বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০’ অনুযায়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে একাধিক অভিযান পরিচালিত হয়।

এ সময়ে নদী, খাল ও সরকারি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে মোট ৪৪টি অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসব অভিযানে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং আইন অমান্য করার দায়ে ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

অভিযানে ২৫টি অবৈধ ড্রেজার মেশিন অপসারণ ও ৪টি ড্রেজার জব্দ করা হয়। এছাড়া প্রায় ১০ হাজার ফুট পাইপ অপসারণ, ২৩টি ট্রাক্টর ও ২টি এক্সকাভেটর আটক করা হয়েছে। অবৈধ বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ৭টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুল ইসলাম বলেন,
“অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পাচার রোধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারা আইন অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ বিন কাশেম বলেন,
“অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। পরিবেশ রক্ষা, নদীভাঙন প্রতিরোধ ও জনস্বার্থে প্রশাসন বদ্ধপরিকর।”

প্রশাসনের এ কঠোর পদক্ষেপে স্থানীয় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকলে মাধবপুরে অবৈধ বালু ব্যবসা বন্ধ হবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে।