ঢাকা ১২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সার পাচারের অভিযোগে লাখাইয়ের কৃষি কর্মকর্তা জ্যোতিলাল গোপের পদাবনতি Logo নিশানের চেয়ারম্যান বেলালসহ কর্মকর্তা গোবিন্দ গ্রেপ্তার Logo মাধবপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন Logo বাহুবলে কূপে গ্যাসের সন্ধান, সম্ভাব্য মূল্য ৪৭০০ কোটি টাকা Logo নবীগঞ্জে অবৈধ ব্যাটারি কারখানায় অভিযান, দুই জনকে অর্থদণ্ড Logo লাখাইয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু Logo নবীগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার কাজল নাথকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩ মাসের কারাদণ্ড Logo নবীগঞ্জে নিখোঁজের দু’ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার, মূলহোতা আউয়াল গ্রেফতার Logo সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ Logo মাধবপুরে নিশানের টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ

বাহুবল সদর থেকে রাজাপুর বাজার সড়কের বেহাল দশা: চরম ভোগান্তিতে সাত গ্রামের মানুষ

Oplus_16777216

বাংলার খবর প্রতিনিধি, বাহুবল (হবিগঞ্জ) হবিগঞ্জের বাহুবল সদর থেকে রাজাপুর বাজার পর্যন্ত সংযোগ সড়কটি আজ চরম বেহাল অবস্থায় পৌঁছেছে। কাঁচা, ভাঙাচোরা আর খানাখন্দে ভরা এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিনই হাজারো মানুষ চলাচল করেন সাতপাড়িয়া, আকিলপুর, কাইতগাঁও, পনারাব্দা, রাজাপুর, মিঠাপুরসহ অন্তত সাতটি গ্রামের।

স্থানীয়রা জানান, বছরের পর বছর সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না থাকায় রাস্তাটি এখন চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষাকালে একটু বৃষ্টিতেই রাস্তাজুড়ে জমে যায় পানি, আর কাদামাটির আস্তরণে হেঁটে চলাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও দেখা গেছে বড় বড় গর্ত, খোয়া-মাটি উঠে গিয়ে কেবল ইট-সুরকি পড়ে আছে।

স্থানীয় আকিলপুর গ্রামের বাসিন্দা নূরুদ্দিন জানান, “এই রাস্তা দিয়ে বাহুবল সদরে না গেলে উপায় নেই। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল—সব জায়গায় যেতে হয় এই দুর্বিষহ পথে।” রাজাপুর গ্রামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “বৃষ্টির দিনে কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়, অনেক সময় পোশাক নষ্ট হয়, ক্লাসও মিস হয়।”

এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনুরোধ করা হলেও রাস্তাটির পূর্ণ সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। তাদের দাবি, জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি পুনঃনির্মাণ করে জনসাধারণের চলাচল স্বাভাবিক করা হোক।

এই সড়কটি শুধু মানুষের চলাচলের মাধ্যমই নয়, কৃষিপণ্য এবং অন্যান্য পণ্য পরিবহনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার হলে এলাকার কৃষি ও অর্থনীতি উভয়ই চাঙা হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

সরকারি প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর দাবি—বাহুবল সদর থেকে রাজাপুর বাজার পর্যন্ত সড়কটির উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি, যেন আর কোনো মানুষ দুর্ভোগে না পড়ে।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ

সার পাচারের অভিযোগে লাখাইয়ের কৃষি কর্মকর্তা জ্যোতিলাল গোপের পদাবনতি

error:

বাহুবল সদর থেকে রাজাপুর বাজার সড়কের বেহাল দশা: চরম ভোগান্তিতে সাত গ্রামের মানুষ

আপডেট সময় ০১:৫৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

বাংলার খবর প্রতিনিধি, বাহুবল (হবিগঞ্জ) হবিগঞ্জের বাহুবল সদর থেকে রাজাপুর বাজার পর্যন্ত সংযোগ সড়কটি আজ চরম বেহাল অবস্থায় পৌঁছেছে। কাঁচা, ভাঙাচোরা আর খানাখন্দে ভরা এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিনই হাজারো মানুষ চলাচল করেন সাতপাড়িয়া, আকিলপুর, কাইতগাঁও, পনারাব্দা, রাজাপুর, মিঠাপুরসহ অন্তত সাতটি গ্রামের।

স্থানীয়রা জানান, বছরের পর বছর সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না থাকায় রাস্তাটি এখন চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষাকালে একটু বৃষ্টিতেই রাস্তাজুড়ে জমে যায় পানি, আর কাদামাটির আস্তরণে হেঁটে চলাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও দেখা গেছে বড় বড় গর্ত, খোয়া-মাটি উঠে গিয়ে কেবল ইট-সুরকি পড়ে আছে।

স্থানীয় আকিলপুর গ্রামের বাসিন্দা নূরুদ্দিন জানান, “এই রাস্তা দিয়ে বাহুবল সদরে না গেলে উপায় নেই। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল—সব জায়গায় যেতে হয় এই দুর্বিষহ পথে।” রাজাপুর গ্রামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “বৃষ্টির দিনে কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়, অনেক সময় পোশাক নষ্ট হয়, ক্লাসও মিস হয়।”

এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনুরোধ করা হলেও রাস্তাটির পূর্ণ সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। তাদের দাবি, জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি পুনঃনির্মাণ করে জনসাধারণের চলাচল স্বাভাবিক করা হোক।

এই সড়কটি শুধু মানুষের চলাচলের মাধ্যমই নয়, কৃষিপণ্য এবং অন্যান্য পণ্য পরিবহনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার হলে এলাকার কৃষি ও অর্থনীতি উভয়ই চাঙা হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

সরকারি প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর দাবি—বাহুবল সদর থেকে রাজাপুর বাজার পর্যন্ত সড়কটির উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি, যেন আর কোনো মানুষ দুর্ভোগে না পড়ে।