
স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় পারিবারিক বিবাদ থানায় মীমাংসা করে প্রশংসিত হচ্ছেন বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাহিদুল ইসলাম। তিনি উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করেন এবং এতে করে উভয়পক্ষই সন্তুষ্ট হয়। এই ঘটনায় উপজেলা জুড়ে ও স্থানীয় লোকজন তার প্রশংসা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাতকাপন ইউনিয়নের সেনারকান্দি গ্রামের রাহিমা আক্তার শশুর ছানা মিয়ার সাথে জায়গা জমি ও পারিবারিক কোন্দল ছিল, যা থানায় লিখিত অভিযোগ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। এই বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল। পারিবারিক বিষয়টি জানতে পেরে থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম তা মীমাংসার উদ্যোগ নেন। উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে তিনি বিরোধ মীমাংসা করে দেন। ফলে উভয় পক্ষ সন্তুুষ্ট হয়েছেন।
ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের বিচার প্রার্থী তাছলিমা আক্তার বলেন, আমার স্বামীর সাথে পারিবারিক ঘটনার বিরোধ নিয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেছি। পারিবারিক অভিযোগ পেয়ে থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম তিনি নিজে বিস্তারিত শুনে, থানায় দুই পক্ষকে ডেকে বিচারের ব্যবস্থা করেন। আমি এ বিচারের সন্তুুষ্ট হয়েছি।
এমনও দেখা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর ছাড়াছাড়ি সিদ্ধান্তও পাল্টিয়ে তাদের উভয়কে এক করে সংসার টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করেছেন। ফলে নিরীহ মানুষ ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় ওসি জাহিদুল ইসলামের কাছে ছুঁটে আসেন।
এছাড়াও অধিক পারিবারিক সমস্যা সমাধান করার ফলে ওসি’র এই উদ্যোগ স্থানীয় জনগণের মধ্যে শান্তি ও স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন,পারিবারিক সমস্যা সমাধানে সাধারণত মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করা হয়। উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে তাদের বক্তব্য শোনেন এবং পারস্পরিক আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে যদি সমস্যাটি গুরুতর না হয় এবং উভয় পক্ষ সমঝোতার জন্য প্রস্তুত থাকে সমস্যা সমাধানের মীমাংসার চেষ্টা করা হয়।।তবে, যদি সমস্যাটি গুরুতর হয় এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। সমস্যাটি যদি পারিবারিক সহিংসতা, মারামারি বা অন্য কোনো ফৌজদারি অপরাধের সাথে জড়িত থাকে, তাহলে ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়।