
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তার ছদ্মবেশে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া প্রতারকচক্রের পাঁচ সদস্যকে দুদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান এ রিমান্ড আদেশ দেন।
রিমান্ডে পাঠানো পাঁচ আসামি হলেন—সেলিম (৪০), তরিকুল ইসলাম (৪০), আতিক (৩৮), আবদুল হাই সোহাগ (৩৫) এবং সোহাগ পাটোয়ারী (৪০)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ রানা আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেককে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঘটনার সূত্রপাত ২৪ জুন। ওই দিন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেন। সেখানে একজন ভুয়া দুদক কর্মকর্তা ঘুষ দাবি করছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
ভিডিওর ভিত্তিতে ২৮ জুন দুদকের উদ্যোগে ঢাকার মুগদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে র্যাবের সহযোগিতায় অপর আসামি সোহাগ পাটোয়ারীকে আটক করা হয় এবং পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেফতারকালে চক্রটির কাছ থেকে সনি ডিজিটাল এইচডি ক্যামেরা, বুম, সেলফি স্টিক, দুটি পাসপোর্ট, ভুয়া পরিচয়ে তৈরি সমকাল পত্রিকার আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড, সোনালী ব্যাংকের চেকবই, ছয়টি মোবাইল ও ১৩টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে—গ্রেফতারকৃতরা নিজেদের দুদকের চেয়ারম্যান বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। এ ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলার খবর – তথ্যভিত্তিক নিরপেক্ষ সংবাদ
আরো পড়ুন: বাংলার খবর – আইন আদালত বিভাগ