
বাংলার খবর ডেস্ক জুলাই গণঅভ্যুত্থান-সংক্রান্ত একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
রিমান্ড শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত থেকে তুহিন বলেন, “আমি আওয়ামী লীগ করি, যুব মহিলা লীগ না।” সেই সময় তিনি জানান, তার প্রয়োজনীয় ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। আইনজীবী ওষুধ প্রদানের অনুমতি চাইলেও আদালত বলেন, নিয়ম অনুসরণ করেই ওষুধ সরবরাহ করতে হবে।
শুনানিতে সাবেক এই এমপিকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়। রিমান্ডের আবেদনের সময় তিনি মাথা নাড়িয়ে প্রতিক্রিয়া জানান এবং রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শোনার সময়ও মুচকি হাসেন।
রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করে, সাবিনা তুহিন ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন এবং হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদায়ের জন্য রিমান্ড প্রয়োজন।
তুহিনের আইনজীবী পাল্টা যুক্তিতে বলেন, তুহিনকে অনুমানের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ কিংবা প্রমাণ নেই। তিনি একজন সাবেক সংসদ সদস্য, রাষ্ট্রের ভাবমূর্তির প্রতিনিধিত্ব করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, “তিনি বিনা ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এমন একজন সরকারঘনিষ্ঠ ব্যক্তি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রমাণের দাবিই অপ্রাসঙ্গিক। তিনি সরকারের দুঃশাসনের অংশ ছিলেন।”
এর আগে, ২২ জুন গভীর রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।