ঢাকা ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মাধবপুরে অজ্ঞাতনামা যুবকের হত্যার পর্দা উন্মোচন, গ্রেফতার আবুল কালাম Logo সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক Logo নবীগঞ্জে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হলো ৪৫টি ছাগল, সর্বস্ব হারিয়ে বাকরুদ্ধ কৃষক Logo বাবাকে অচেতন করে ছুরি মেরে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার Logo জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কের উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo কার ফোন কল পেয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে এয়াপোর্টে ছেড়ে দেওয়া হল ? Logo নবীগঞ্জে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা! Logo স্বাধীনতার ঘোষণা’ দিয়েছে বেলুচিস্তান Logo ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি কমিটি অনুমোদন ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহবুব শ্যামলকে সভাপতি ও সিরাজুল ইসলাম সিরাজ সম্পাদক Logo বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি না, সেটা তো বিএনপির বক্তব্যের বিষয় নয়

‘কত বড় বড় নেতা পাইলাম কিন্তু পুলটা পাইলাম না’

‘আমরার সাইফুর রহমান সাব যখন অর্থমন্ত্রী আছলা তখন আমরারে কইছলা (বলছিলেন) এই জাগাত বড় একটা পুল অইব। তাইন আমরারে কওয়ার কয়দিন পর যখন বড় বড় অফিসাররা আইয়া জাগা দেইক্ষা গেছলা। এরপর আমরার দক্ষিণ দিকে একটা বড় পুল অইছে। তখনও হুনছিলাম ওই পুলের পরে আমরারটা অইব। ২০০৬ সালে সাইফুর রহমান সাব ক্ষমতা থাকি গেলাগি। আর ২০০৯ সালে আথকা তাইন মারা গেলা। তাইন মারা যাওয়ার লগে রগে আমরার পুলও মনে লয় মরি গেছে। তাইন বাইচ্চা থাকলে আমরা কপালে এতো দুঃখ অইলোনানে। এরপর কতজন এমপি অইলা, কত বড় বড় নেতা আমরা পাইলাম। কত বড় বড় কথা হুনলাম কিন্তু পুলটা আমরা আর পাইলাম না। আর জনমে পাইমু করিও মনে লয় না। গত ১৫-১৬ বছরে আমরা এলাকার মানুষ বহুবার এখানে পুল করার লাগি এমপি, চেয়ারম্যান, মেম্বার ও অফিসারদের কাছে গেছি। কোনো লাভ অইছে না।’

আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ বেঁকামুড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আবুল হোসেন।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৫ নম্বর আখাইকুড়া ইউনিয়নের কাজিরবাজারে মনু নদীর ওপর সেতুর অভাবে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় এখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে, যা শুষ্ক মৌসুমে যখন নদীতে পানি কম থাকে তখন এই সাঁকোই ওই ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, নারী-পুরুষসহ প্রায় ২২ হাজার মানুষের একমাত্র অবলম্বন। সাঁকোটি সরু হওয়ায় এক পাশ থেকে মানুষ সাঁকোতে উঠলে অন্য পাশের মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কয়েক বছর আগে মানুষের ভারে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে নদীতে পড়ে আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন মানুষ। এ ছাড়া প্রায়ই ওই বাঁশের সাঁকো থেকে নিচে পড়ে শিশু-নারীসহ অনেকেই আহত হচ্ছেন। শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পারাপার করা সম্ভব হলেও বর্ষা মৌসুমে নদী যখন ফুলেফেঁপে ওঠে তখন পারাপারের জন্য ব্যবহার করতে হয় রশিটানা ছোট নৌকা। রশিটানা নৌকায় পারাপারেও আতঙ্কে থাকেন ১৫ গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরার সখানটাং পর্বতের কাহোসিব চূড়া থেকে উৎপত্তি হয়ে মৌলভীবাজার জেলা দিয়ে প্রবাহিত হওয়া নদীটি মূলত সিলেট-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে বয়ে গেছে। সদর উপজেলার কাজিরবাজার এলাকার মনুমুখ নামক স্থানে গিয়ে নদীটি মিলিত হয়েছে কুশিয়ারা নদীতে। বর্ষায় নদটি উত্তাল থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে নদীটির পানি থাকে একেবারে তলানিতে। ওই নদীর সিলেট-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঠিক পাশেই কাজিরবাজার নামক স্থানে স্থানীয়দের কর্তৃক নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে কাজিরবাজার, মিরপুর, আমুয়া, পালপুর, ইসলামপুর, শেওয়াইজুড়ী, চানপুর, মনুমুখ, কালিয়া, ওয়াপদা, বেঁকামুড়া, দক্ষিণ বেঁকামুড়া, পশ্চিম বেঁকামুড়াসহ ১৫টি গ্রামের প্রায় ২২ হাজার মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী নদী পারাপার হচ্ছেন।

পালপুর গ্রামের শ্রী নিবাস দাস বলেন, ‘আমাদের এলাকার ১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রাত্যহিক প্রয়োজনে মনু নদীটি পারাপার হতে হয়। এ ছাড়া ওই ১৫টি গ্রামের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একমাত্র বিদ্যালয় হলো কাজিরবাজার আপ্তাব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের কিশোর শিক্ষার্থীরা স্কুল বন্ধের দিন ব্যতীত প্রতিদিন এ সরু বাঁশের সাঁকো পারি দিয়ে আসা-যাওয়া করে। এতে মাঝমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ বরাবরে এলাকাবাসী বহু আবেদন নিবেদন করলেও এখনও সাড়া পাওয়া যায়নি।’

একই গ্রামের চিনিলাল নমশূদ্র বলেন, ‘বাঁশের সাঁকোর প্রয়োজনীয় মেরামত ও রশি টেনে খেয়া পারাপার করি আমি। এসব কাজ করে আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে বছরে কিছু টাকা পাই। আর খেয়া পারাপারে জনপ্রতি ৫ টাকা করে পাই।’

মনুমুখ বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে ব্রিজ হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ থাকতো না। কিন্তু কেন যে এখানে ব্রিজ হচ্ছে না, জানি না। আমরা এই দেশের নাগরিক। সরকারকে কর দিই। তাই আমাদের দাবি কাঙ্ক্ষিত ব্রিজটি করে দেওয়া হোক।’

বেঁকামুড়া গ্রামের মঙ্গল কর বলেন, ‘প্রতিদিন শত শত মানুষ কৃষিপণ্য পরিবহনসহ বিভিন্ন কাজে নদীর এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যাতায়াত করেন। এ ছাড়া স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়মিত এ পথে চলাচল করতে হয়, যা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।’

বেঁকামুড়া গ্রামের ব্যবসায়ী মিজানুল হক পান্না বলেন, প্রতিদিন ৩শ থেকে ৪শ শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসার পথে বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে যাতায়াত করেন। ছোট ছোট বাচ্চা, বয়স্ক মানুষ ও মহিলাদের জন্য এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবাদুল হক বলেন, কাজিরবাজারে মনু নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে বিশাল এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

এ বিষয়ে ৫ নম্বর আখাইকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মো. বদরুজ্জামানের বক্তব্য জানতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মৌলভীবাজারের সদর উপজেলা প্রকৌশলী শাহেদ হোসেন বলেন, কাজিরবাজারে মনু নদীর সেতুর বিষয়ে কোনো তথ্য আমার জানা নেই। তবে দ্রুতই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে ও সরেজমিন পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে করণীয় নির্ধারণে তৎপর হব।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

মাধবপুরে অজ্ঞাতনামা যুবকের হত্যার পর্দা উন্মোচন, গ্রেফতার আবুল কালাম

Don`t copy text!

‘কত বড় বড় নেতা পাইলাম কিন্তু পুলটা পাইলাম না’

আপডেট সময় ১১:৪৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

‘আমরার সাইফুর রহমান সাব যখন অর্থমন্ত্রী আছলা তখন আমরারে কইছলা (বলছিলেন) এই জাগাত বড় একটা পুল অইব। তাইন আমরারে কওয়ার কয়দিন পর যখন বড় বড় অফিসাররা আইয়া জাগা দেইক্ষা গেছলা। এরপর আমরার দক্ষিণ দিকে একটা বড় পুল অইছে। তখনও হুনছিলাম ওই পুলের পরে আমরারটা অইব। ২০০৬ সালে সাইফুর রহমান সাব ক্ষমতা থাকি গেলাগি। আর ২০০৯ সালে আথকা তাইন মারা গেলা। তাইন মারা যাওয়ার লগে রগে আমরার পুলও মনে লয় মরি গেছে। তাইন বাইচ্চা থাকলে আমরা কপালে এতো দুঃখ অইলোনানে। এরপর কতজন এমপি অইলা, কত বড় বড় নেতা আমরা পাইলাম। কত বড় বড় কথা হুনলাম কিন্তু পুলটা আমরা আর পাইলাম না। আর জনমে পাইমু করিও মনে লয় না। গত ১৫-১৬ বছরে আমরা এলাকার মানুষ বহুবার এখানে পুল করার লাগি এমপি, চেয়ারম্যান, মেম্বার ও অফিসারদের কাছে গেছি। কোনো লাভ অইছে না।’

আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ বেঁকামুড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আবুল হোসেন।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৫ নম্বর আখাইকুড়া ইউনিয়নের কাজিরবাজারে মনু নদীর ওপর সেতুর অভাবে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় এখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে, যা শুষ্ক মৌসুমে যখন নদীতে পানি কম থাকে তখন এই সাঁকোই ওই ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, নারী-পুরুষসহ প্রায় ২২ হাজার মানুষের একমাত্র অবলম্বন। সাঁকোটি সরু হওয়ায় এক পাশ থেকে মানুষ সাঁকোতে উঠলে অন্য পাশের মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কয়েক বছর আগে মানুষের ভারে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে নদীতে পড়ে আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন মানুষ। এ ছাড়া প্রায়ই ওই বাঁশের সাঁকো থেকে নিচে পড়ে শিশু-নারীসহ অনেকেই আহত হচ্ছেন। শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পারাপার করা সম্ভব হলেও বর্ষা মৌসুমে নদী যখন ফুলেফেঁপে ওঠে তখন পারাপারের জন্য ব্যবহার করতে হয় রশিটানা ছোট নৌকা। রশিটানা নৌকায় পারাপারেও আতঙ্কে থাকেন ১৫ গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরার সখানটাং পর্বতের কাহোসিব চূড়া থেকে উৎপত্তি হয়ে মৌলভীবাজার জেলা দিয়ে প্রবাহিত হওয়া নদীটি মূলত সিলেট-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে বয়ে গেছে। সদর উপজেলার কাজিরবাজার এলাকার মনুমুখ নামক স্থানে গিয়ে নদীটি মিলিত হয়েছে কুশিয়ারা নদীতে। বর্ষায় নদটি উত্তাল থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে নদীটির পানি থাকে একেবারে তলানিতে। ওই নদীর সিলেট-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঠিক পাশেই কাজিরবাজার নামক স্থানে স্থানীয়দের কর্তৃক নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে কাজিরবাজার, মিরপুর, আমুয়া, পালপুর, ইসলামপুর, শেওয়াইজুড়ী, চানপুর, মনুমুখ, কালিয়া, ওয়াপদা, বেঁকামুড়া, দক্ষিণ বেঁকামুড়া, পশ্চিম বেঁকামুড়াসহ ১৫টি গ্রামের প্রায় ২২ হাজার মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী নদী পারাপার হচ্ছেন।

পালপুর গ্রামের শ্রী নিবাস দাস বলেন, ‘আমাদের এলাকার ১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রাত্যহিক প্রয়োজনে মনু নদীটি পারাপার হতে হয়। এ ছাড়া ওই ১৫টি গ্রামের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একমাত্র বিদ্যালয় হলো কাজিরবাজার আপ্তাব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের কিশোর শিক্ষার্থীরা স্কুল বন্ধের দিন ব্যতীত প্রতিদিন এ সরু বাঁশের সাঁকো পারি দিয়ে আসা-যাওয়া করে। এতে মাঝমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ বরাবরে এলাকাবাসী বহু আবেদন নিবেদন করলেও এখনও সাড়া পাওয়া যায়নি।’

একই গ্রামের চিনিলাল নমশূদ্র বলেন, ‘বাঁশের সাঁকোর প্রয়োজনীয় মেরামত ও রশি টেনে খেয়া পারাপার করি আমি। এসব কাজ করে আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে বছরে কিছু টাকা পাই। আর খেয়া পারাপারে জনপ্রতি ৫ টাকা করে পাই।’

মনুমুখ বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে ব্রিজ হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ থাকতো না। কিন্তু কেন যে এখানে ব্রিজ হচ্ছে না, জানি না। আমরা এই দেশের নাগরিক। সরকারকে কর দিই। তাই আমাদের দাবি কাঙ্ক্ষিত ব্রিজটি করে দেওয়া হোক।’

বেঁকামুড়া গ্রামের মঙ্গল কর বলেন, ‘প্রতিদিন শত শত মানুষ কৃষিপণ্য পরিবহনসহ বিভিন্ন কাজে নদীর এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যাতায়াত করেন। এ ছাড়া স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়মিত এ পথে চলাচল করতে হয়, যা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।’

বেঁকামুড়া গ্রামের ব্যবসায়ী মিজানুল হক পান্না বলেন, প্রতিদিন ৩শ থেকে ৪শ শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসার পথে বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে যাতায়াত করেন। ছোট ছোট বাচ্চা, বয়স্ক মানুষ ও মহিলাদের জন্য এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবাদুল হক বলেন, কাজিরবাজারে মনু নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে বিশাল এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

এ বিষয়ে ৫ নম্বর আখাইকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মো. বদরুজ্জামানের বক্তব্য জানতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মৌলভীবাজারের সদর উপজেলা প্রকৌশলী শাহেদ হোসেন বলেন, কাজিরবাজারে মনু নদীর সেতুর বিষয়ে কোনো তথ্য আমার জানা নেই। তবে দ্রুতই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে ও সরেজমিন পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে করণীয় নির্ধারণে তৎপর হব।