ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ফিটনেসবিহীন গণপরিবহণ সরাতে বিশেষ ঋণ দেবে সরকার Logo মহাসড়কে উল্টে গেল লরি, কুমিল্লায় ১০ কিমি যানজট ও ৫ ঘণ্টা ভোগান্তি Logo মুজিববাদী সংবিধান বাতিলের আহ্বান নাহিদের, সব জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করার দাবি Logo পাকিস্তানকে মাত্র ১১০ রানে অলআউট করে দিল বাংলাদেশ! Logo সারজিস আলম ক্ষমা না চাইলে বান্দরবানে এনসিপি নিষিদ্ধ ঘোষণা Logo বাড়ি ফিরেছেন প্রসূন আজাদের বাবা, নিখোঁজের পর ফেরার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা Logo একটু পর মাঠে গরম উত্তেজনা, মুখোমুখি বাংলাদেশ-পাকিস্তান Logo চলতি বছর তিনটি যৌথ মহড়া করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র Logo ৪০ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে এমন সংকট দেখিনি: এ কে আজাদ Logo ভারতকে বেশি অর্থ দিয়ে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বঞ্চিত করছে আইসিসি, দাবি ভনের

৪০ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে এমন সংকট দেখিনি: এ কে আজাদ

বাংলার খবর অর্থনীতি ডেস্ক

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

দেশের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেছেন, “৪০ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে রপ্তানি খাতে এমন কঠিন সময় দেখিনি।” আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বৈঠকে তিনি বলেন, “আমরা রপ্তানিকারকরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি। কিন্তু বর্তমানে আমরা হতাশ, ক্ষুব্ধ এবং ভীষণ চাপের মধ্যে আছি।” তিনি জানান, এক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তাদের বক্তব্য ছিল, “তোমাদের অবস্থান দুর্বল, ভালো কিছু আশা করা যাচ্ছে না।”

এ কে আজাদ বলেন, “এই সংকট নিরসনে আমি একাধিক উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, ৯৫% সমস্যার সমাধান হয়েছে, অবশিষ্ট ৫% নিয়ে কাজ চলছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার এক ক্রেতা জানিয়েছে, ১ তারিখ থেকে যদি যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক না ওঠানো হয়, তাহলে ৩৫% শুল্ক আমাকেই বহন করতে হবে। আমি ব্যবসায়ী হয়ে এই শুল্ক কীভাবে বহন করব?”

ইন্দোনেশিয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “সেখানে সরকার ও ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে কাজ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। অথচ বাংলাদেশে আমরা এখনও পিছিয়ে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনারা তো আর বেশি দিন থাকবেন না, এরপর আমাদের কর্ণধার কে হবেন? আমরা কার দ্বারস্থ হব?”

এ কে আজাদ সরকারের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা যদি পারেন, শুল্ক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ে কথা বলুন। কারণ এই সংকট শুধু ব্যবসায়ীদের নয়, দেশেরও।”

বাংলাদেশের বর্তমান রপ্তানি পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “সরকার বলছে তারা দ্রুত লবিস্ট নিয়োগসহ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু এত দেরিতে শুরু করে কতদূর অগ্রসর হওয়া যাবে, সেটা নিয়ে আমাদের সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।”

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহণ সরাতে বিশেষ ঋণ দেবে সরকার

error:

৪০ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে এমন সংকট দেখিনি: এ কে আজাদ

আপডেট সময় ০৫:০১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

বাংলার খবর অর্থনীতি ডেস্ক

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

দেশের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেছেন, “৪০ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে রপ্তানি খাতে এমন কঠিন সময় দেখিনি।” আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বৈঠকে তিনি বলেন, “আমরা রপ্তানিকারকরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি। কিন্তু বর্তমানে আমরা হতাশ, ক্ষুব্ধ এবং ভীষণ চাপের মধ্যে আছি।” তিনি জানান, এক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তাদের বক্তব্য ছিল, “তোমাদের অবস্থান দুর্বল, ভালো কিছু আশা করা যাচ্ছে না।”

এ কে আজাদ বলেন, “এই সংকট নিরসনে আমি একাধিক উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, ৯৫% সমস্যার সমাধান হয়েছে, অবশিষ্ট ৫% নিয়ে কাজ চলছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার এক ক্রেতা জানিয়েছে, ১ তারিখ থেকে যদি যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক না ওঠানো হয়, তাহলে ৩৫% শুল্ক আমাকেই বহন করতে হবে। আমি ব্যবসায়ী হয়ে এই শুল্ক কীভাবে বহন করব?”

ইন্দোনেশিয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “সেখানে সরকার ও ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে কাজ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। অথচ বাংলাদেশে আমরা এখনও পিছিয়ে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনারা তো আর বেশি দিন থাকবেন না, এরপর আমাদের কর্ণধার কে হবেন? আমরা কার দ্বারস্থ হব?”

এ কে আজাদ সরকারের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা যদি পারেন, শুল্ক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ে কথা বলুন। কারণ এই সংকট শুধু ব্যবসায়ীদের নয়, দেশেরও।”

বাংলাদেশের বর্তমান রপ্তানি পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “সরকার বলছে তারা দ্রুত লবিস্ট নিয়োগসহ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু এত দেরিতে শুরু করে কতদূর অগ্রসর হওয়া যাবে, সেটা নিয়ে আমাদের সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।”