
**মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:**
হবিগঞ্জের মাধবপুরে আদালতের নির্দেশে শিশু উদ্ধারে গিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় জনতার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে এ সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্যসহ মোট ছয়জন আহত হন।
আহতরা হলেন— গাজীপুর গ্রামের আবু কালামের মেয়ে সোনিয়া (৩০) ও সাবিনা (৩৬), কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান, কনস্টেবল শরীফ আহমেদ, শাহেদ আহমেদ ও সুজন কান্তি। আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মনিকা পাল জানান, আহতদের মাথা ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর গ্রামের আকিল মিয়া ও তার সাবেক স্ত্রী নাজমা আক্তার দিপ্তীর মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের পর তাদের সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সন্তানের হেফাজত পেতে নাজমা আক্তার আদালতে মামলা করেন।
আদালতের নির্দেশে বুধবার দুপুরে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান শিশুটিকে উদ্ধারে গেলে আকিল মিয়ার পরিবারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা হয়, এতে এসআই মিজানসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
খবর পেয়ে কাশিমনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তুফা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
এসআই মিজানুর রহমান বলেন, “আদালতের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে আমাদের ওপর বেআইনিভাবে হামলা করা হয়েছে।”
অন্যদিকে আকিল মিয়া অভিযোগ করেন, “আমি সন্তানের হেফাজত দিতে রাজি ছিলাম, কিন্তু পুলিশ বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার বোন ও বোনজামাইকে মারধর করেছে, সিসিটিভি ভেঙেছে এবং তাদের আটক করেছে।”
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল্লাহ জানান, “এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
বাংলার খবর ডেস্ক : 






















