ঢাকা ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ‘মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগীদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে’ Logo জামালপুরে ফুটবল লীগ আয়োজনে ডিএফএ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: কয়েক দিনের সংঘাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি, যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তির নিশ্বাস Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় গরু জবাই করে বিরিয়ানি খাওয়ালেন ইসলামি বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী Logo মাধবপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম Logo “সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ: নিরপেক্ষতা কি সম্ভব?” Logo পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, ড. কনক সরওয়ার ও জুলকারনাইন সায়েরের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে ভারত Logo মাস্ক ও লুঙ্গি পরে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ Logo আগেও দুইবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল Logo মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান

অভ্যুত্থানের ক্ষতিপূরণের টাকা আত্নসাৎ, হাতেনাতে ধরা একজন

ছবি : সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহত পরিবারদের সহায়তায় সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের একটি অংশ মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে চলে যাচ্ছে। এমনকি, অনেক পরিবার এখনও তাদের প্রাপ্য সহায়তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত অর্থের বিনিময়ে জালিয়াতির একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে, যারা অর্থের বিনিময়ে কাগজপত্র প্রস্তুত করে দিচ্ছে। এমনই এক অভিযুক্ত আফরিনকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

হাফিজা আক্তার (হ্যাপি) নামে এক শহীদ পরিবারের সদস্য জানান, তার স্বামী আহসান শরীফের নাম রাষ্ট্রীয় তালিকায় থাকলেও সহায়তা পেতে তাকে ৫ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করা হয়। একইভাবে, নারায়ণগঞ্জের অঙ্কন দাস, বেলাল হোসেন ও বুলবুল শিকদারের পরিবারও অভিযোগ করেন যে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছে। আফরিন নামের এক নারী, যিনি আগে এনসিপির নারায়ণগঞ্জ শাখার সংগঠক ছিলেন, তিনি শহীদ ও আহত পরিবারদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে বহিষ্কৃত হন।

ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, আফরিন একাধিক সংস্থা থেকে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করতেন। তিনি পরিবারগুলোকে বলতেন, *”আপনি যদি ১০ হাজার টাকা দেন, তাহলে পরবর্তী অনুদান পাবেন, নইলে পাবেন না।”* এমনকি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত ২০ হাজার টাকার মধ্যে অর্ধেক আদায়ের চেষ্টাও করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন এই ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, *”যারা শহীদ ও আহতদের সহায়তায় নিয়োজিত, তাদের এমন কাজে লিপ্ত হওয়া অমার্জনীয়।”* সংগঠনটি বিষয়টি তদন্ত করে আফরিনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

অনেক আহত ও শহীদ পরিবার এখনও তাদের প্রাপ্য সহায়তা পাচ্ছেন না। তারা সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, যারা সুস্থ রয়েছেন, তাদেরও আহত ও শহীদ পরিবারদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি সহায়তা প্রকৃত প্রাপকদের কাছে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ? দুর্নীতি রোধে কঠোর নজরদারি ও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে, জুলাই অভ্যুত্থানের মতো ঐতিহাসিক আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের পরিবাররা আরও বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

‘মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগীদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে’

error:

অভ্যুত্থানের ক্ষতিপূরণের টাকা আত্নসাৎ, হাতেনাতে ধরা একজন

আপডেট সময় ১১:৪৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহত পরিবারদের সহায়তায় সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের একটি অংশ মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে চলে যাচ্ছে। এমনকি, অনেক পরিবার এখনও তাদের প্রাপ্য সহায়তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত অর্থের বিনিময়ে জালিয়াতির একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে, যারা অর্থের বিনিময়ে কাগজপত্র প্রস্তুত করে দিচ্ছে। এমনই এক অভিযুক্ত আফরিনকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

হাফিজা আক্তার (হ্যাপি) নামে এক শহীদ পরিবারের সদস্য জানান, তার স্বামী আহসান শরীফের নাম রাষ্ট্রীয় তালিকায় থাকলেও সহায়তা পেতে তাকে ৫ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করা হয়। একইভাবে, নারায়ণগঞ্জের অঙ্কন দাস, বেলাল হোসেন ও বুলবুল শিকদারের পরিবারও অভিযোগ করেন যে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছে। আফরিন নামের এক নারী, যিনি আগে এনসিপির নারায়ণগঞ্জ শাখার সংগঠক ছিলেন, তিনি শহীদ ও আহত পরিবারদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে বহিষ্কৃত হন।

ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, আফরিন একাধিক সংস্থা থেকে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করতেন। তিনি পরিবারগুলোকে বলতেন, *”আপনি যদি ১০ হাজার টাকা দেন, তাহলে পরবর্তী অনুদান পাবেন, নইলে পাবেন না।”* এমনকি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত ২০ হাজার টাকার মধ্যে অর্ধেক আদায়ের চেষ্টাও করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন এই ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, *”যারা শহীদ ও আহতদের সহায়তায় নিয়োজিত, তাদের এমন কাজে লিপ্ত হওয়া অমার্জনীয়।”* সংগঠনটি বিষয়টি তদন্ত করে আফরিনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

অনেক আহত ও শহীদ পরিবার এখনও তাদের প্রাপ্য সহায়তা পাচ্ছেন না। তারা সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, যারা সুস্থ রয়েছেন, তাদেরও আহত ও শহীদ পরিবারদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি সহায়তা প্রকৃত প্রাপকদের কাছে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ? দুর্নীতি রোধে কঠোর নজরদারি ও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে, জুলাই অভ্যুত্থানের মতো ঐতিহাসিক আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের পরিবাররা আরও বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।