ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির পর আজ রাতে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি Logo জুলাই-আগস্টে আন্দোলন দমনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা চেয়েছে তদন্ত সংস্থা Logo আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি Logo আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা Logo হবিগঞ্জে ইজিবাইক নিয়ে সংঘর্ষ, পুলিশসহ ৩০ জন আহত Logo ‘মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগীদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে’ Logo জামালপুরে ফুটবল লীগ আয়োজনে ডিএফএ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: কয়েক দিনের সংঘাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি, যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তির নিশ্বাস Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় গরু জবাই করে বিরিয়ানি খাওয়ালেন ইসলামি বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী Logo মাধবপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম

মাধবপুরে খিরার বাম্পার ফলনে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষক

  • শেখ ইমন আহমেদ
  • আপডেট সময় ০৪:৩৭:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৬০১ Time View

স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। খিরা চাষে কম খরচ ও বেশি লাভ হওয়ায় এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খিরা চাষ বেড়েছে। নতুন করে খিরা চাষে যুক্ত হয়েছেন অনেক চাষি।

উপজেলার বুল্লা গ্রামের কৃষক ধনু মিয়া জানান, তার জমিতে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। বুল্লা গ্রামে অন্যান্য চাষিরাও খিরা চাষে মনোযোগী হয়েছেন, কারণ বাজারে খিরার চাহিদা প্রচুর। পাইকাররা আগ্রহের সঙ্গে খিরা কিনছেন। বুল্লা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি খিরার ফলন হয়।

চাষি ছায়েদ মিয়া জানান, এ বছর খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে এবং দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। বর্তমানে প্রতি কেজি খিরার পাইকারি দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খিরা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। তিনি প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকার খিরা বিক্রি করছেন।

আরেক চাষি মাসুক মিয়া জানান, কয়েক বছর আগে পরিবারের অভাব মেটাতে ৩০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ শুরু করেন। এই বছর ৬০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে খিরা তোলা শুরু হয়েছে এবং এপ্রিল মাস পর্যন্ত তা চলবে। তবে দাম মার্চের পর কমে যেতে পারে। তবে সব মিলিয়ে, এবছর খিরা থেকে আয় গত বছরের তুলনায় বেশি হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউল হক জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাইব্রিড খিরাপাওয়া গেলেও বুল্লা ইউনিয়নে জমিতে দেশীয় খিরার ভালো ফলন হয়েছে। এখানকার খিরার স্বাদও বিশেষ, তাই বাজারে এর চাহিদা সব চেয়ে বেশি।

বুল্লা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে খিরা চাষ হলেও বুল্লা ইউনিয়নে খিরার ফলন সবচেয়ে বেশি হয়।

মাধবপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সজীব সরকার জানান, এবছর ৭০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। ফলন ও দাম বাড়ায় কৃষকের লাভ হয়েছে এবং স্থানীয় চাষিদের মধ্যে খিরা চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির পর আজ রাতে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

মাধবপুরে খিরার বাম্পার ফলনে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষক

আপডেট সময় ০৪:৩৭:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। খিরা চাষে কম খরচ ও বেশি লাভ হওয়ায় এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খিরা চাষ বেড়েছে। নতুন করে খিরা চাষে যুক্ত হয়েছেন অনেক চাষি।

উপজেলার বুল্লা গ্রামের কৃষক ধনু মিয়া জানান, তার জমিতে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। বুল্লা গ্রামে অন্যান্য চাষিরাও খিরা চাষে মনোযোগী হয়েছেন, কারণ বাজারে খিরার চাহিদা প্রচুর। পাইকাররা আগ্রহের সঙ্গে খিরা কিনছেন। বুল্লা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি খিরার ফলন হয়।

চাষি ছায়েদ মিয়া জানান, এ বছর খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে এবং দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। বর্তমানে প্রতি কেজি খিরার পাইকারি দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খিরা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। তিনি প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকার খিরা বিক্রি করছেন।

আরেক চাষি মাসুক মিয়া জানান, কয়েক বছর আগে পরিবারের অভাব মেটাতে ৩০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ শুরু করেন। এই বছর ৬০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে খিরা তোলা শুরু হয়েছে এবং এপ্রিল মাস পর্যন্ত তা চলবে। তবে দাম মার্চের পর কমে যেতে পারে। তবে সব মিলিয়ে, এবছর খিরা থেকে আয় গত বছরের তুলনায় বেশি হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউল হক জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাইব্রিড খিরাপাওয়া গেলেও বুল্লা ইউনিয়নে জমিতে দেশীয় খিরার ভালো ফলন হয়েছে। এখানকার খিরার স্বাদও বিশেষ, তাই বাজারে এর চাহিদা সব চেয়ে বেশি।

বুল্লা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে খিরা চাষ হলেও বুল্লা ইউনিয়নে খিরার ফলন সবচেয়ে বেশি হয়।

মাধবপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সজীব সরকার জানান, এবছর ৭০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। ফলন ও দাম বাড়ায় কৃষকের লাভ হয়েছে এবং স্থানীয় চাষিদের মধ্যে খিরা চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।