ঢাকা ০৯:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সাবেক এমপি তুহিন বললেন, “আমি আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ না” Logo শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ৬২ কোটির বাজেট ঘোষণা Logo দুদক কর্মকর্তা’ পরিচয়ে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে প্রতারকচক্রের ৫ সদস্য রিমান্ডে Logo সরকারি দপ্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য পার্টটাইম চাকরির উদ্যোগ: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Logo আন্দোলনকারীরা পক্ষপাতভাবে কাজ না করলে কারও কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা Logo উপদেষ্টা আসিফের অস্ত্র বৈধ নয়, ছিল পিস্তলের খালি ম্যাগাজিন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo শাওন মুফতি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মমতাজকে, কাঠগড়ায় ছিলেন নিশ্চুপ Logo অর্থবছরের শেষ দিনে রাজস্ব আদায় ৩,৬০,৯২০ কোটি টাকা Logo ডিএমপির ৭ পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বে রদবদল Logo মুরাদনগর ধর্ষণকাণ্ডে নতুন ভিডিও, মামলা তুলে নিতে চান ভুক্তভোগী নারী

মাধবপুরে খিরার বাম্পার ফলনে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষক

  • শেখ ইমন আহমেদ
  • আপডেট সময় ০৪:৩৭:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৬৪৮ Time View

স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। খিরা চাষে কম খরচ ও বেশি লাভ হওয়ায় এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খিরা চাষ বেড়েছে। নতুন করে খিরা চাষে যুক্ত হয়েছেন অনেক চাষি।

উপজেলার বুল্লা গ্রামের কৃষক ধনু মিয়া জানান, তার জমিতে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। বুল্লা গ্রামে অন্যান্য চাষিরাও খিরা চাষে মনোযোগী হয়েছেন, কারণ বাজারে খিরার চাহিদা প্রচুর। পাইকাররা আগ্রহের সঙ্গে খিরা কিনছেন। বুল্লা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি খিরার ফলন হয়।

চাষি ছায়েদ মিয়া জানান, এ বছর খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে এবং দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। বর্তমানে প্রতি কেজি খিরার পাইকারি দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খিরা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। তিনি প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকার খিরা বিক্রি করছেন।

আরেক চাষি মাসুক মিয়া জানান, কয়েক বছর আগে পরিবারের অভাব মেটাতে ৩০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ শুরু করেন। এই বছর ৬০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে খিরা তোলা শুরু হয়েছে এবং এপ্রিল মাস পর্যন্ত তা চলবে। তবে দাম মার্চের পর কমে যেতে পারে। তবে সব মিলিয়ে, এবছর খিরা থেকে আয় গত বছরের তুলনায় বেশি হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউল হক জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাইব্রিড খিরাপাওয়া গেলেও বুল্লা ইউনিয়নে জমিতে দেশীয় খিরার ভালো ফলন হয়েছে। এখানকার খিরার স্বাদও বিশেষ, তাই বাজারে এর চাহিদা সব চেয়ে বেশি।

বুল্লা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে খিরা চাষ হলেও বুল্লা ইউনিয়নে খিরার ফলন সবচেয়ে বেশি হয়।

মাধবপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সজীব সরকার জানান, এবছর ৭০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। ফলন ও দাম বাড়ায় কৃষকের লাভ হয়েছে এবং স্থানীয় চাষিদের মধ্যে খিরা চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বাংলার খবর
জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক এমপি তুহিন বললেন, “আমি আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ না”

error:

মাধবপুরে খিরার বাম্পার ফলনে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষক

আপডেট সময় ০৪:৩৭:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। খিরা চাষে কম খরচ ও বেশি লাভ হওয়ায় এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খিরা চাষ বেড়েছে। নতুন করে খিরা চাষে যুক্ত হয়েছেন অনেক চাষি।

উপজেলার বুল্লা গ্রামের কৃষক ধনু মিয়া জানান, তার জমিতে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। বুল্লা গ্রামে অন্যান্য চাষিরাও খিরা চাষে মনোযোগী হয়েছেন, কারণ বাজারে খিরার চাহিদা প্রচুর। পাইকাররা আগ্রহের সঙ্গে খিরা কিনছেন। বুল্লা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি খিরার ফলন হয়।

চাষি ছায়েদ মিয়া জানান, এ বছর খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে এবং দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। বর্তমানে প্রতি কেজি খিরার পাইকারি দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খিরা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। তিনি প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকার খিরা বিক্রি করছেন।

আরেক চাষি মাসুক মিয়া জানান, কয়েক বছর আগে পরিবারের অভাব মেটাতে ৩০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ শুরু করেন। এই বছর ৬০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে খিরা তোলা শুরু হয়েছে এবং এপ্রিল মাস পর্যন্ত তা চলবে। তবে দাম মার্চের পর কমে যেতে পারে। তবে সব মিলিয়ে, এবছর খিরা থেকে আয় গত বছরের তুলনায় বেশি হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউল হক জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাইব্রিড খিরাপাওয়া গেলেও বুল্লা ইউনিয়নে জমিতে দেশীয় খিরার ভালো ফলন হয়েছে। এখানকার খিরার স্বাদও বিশেষ, তাই বাজারে এর চাহিদা সব চেয়ে বেশি।

বুল্লা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে খিরা চাষ হলেও বুল্লা ইউনিয়নে খিরার ফলন সবচেয়ে বেশি হয়।

মাধবপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সজীব সরকার জানান, এবছর ৭০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। ফলন ও দাম বাড়ায় কৃষকের লাভ হয়েছে এবং স্থানীয় চাষিদের মধ্যে খিরা চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।