ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সাবেক এমপি তুহিন বললেন, “আমি আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ না” Logo শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ৬২ কোটির বাজেট ঘোষণা Logo দুদক কর্মকর্তা’ পরিচয়ে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে প্রতারকচক্রের ৫ সদস্য রিমান্ডে Logo সরকারি দপ্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য পার্টটাইম চাকরির উদ্যোগ: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Logo আন্দোলনকারীরা পক্ষপাতভাবে কাজ না করলে কারও কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা Logo উপদেষ্টা আসিফের অস্ত্র বৈধ নয়, ছিল পিস্তলের খালি ম্যাগাজিন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo শাওন মুফতি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মমতাজকে, কাঠগড়ায় ছিলেন নিশ্চুপ Logo অর্থবছরের শেষ দিনে রাজস্ব আদায় ৩,৬০,৯২০ কোটি টাকা Logo ডিএমপির ৭ পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বে রদবদল Logo মুরাদনগর ধর্ষণকাণ্ডে নতুন ভিডিও, মামলা তুলে নিতে চান ভুক্তভোগী নারী

মুরাদনগর ধর্ষণকাণ্ডে নতুন ভিডিও, মামলা তুলে নিতে চান ভুক্তভোগী নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলার খবরঃ কুমিল্লার মুরাদনগরে আলোচিত ধর্ষণকাণ্ডে নতুন মোড় নিয়েছে ঘটনা। এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এক ভয়াবহ ভিডিও, যেখানে অভিযুক্ত ফজর আলীকে ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ আলী সুমনের নেতৃত্বে নির্যাতনের চিত্র দেখা যায়। অন্যদিকে, মামলার বাদী নারী জানিয়েছেন—তিনি না বুঝেই মামলা করেছেন এবং এখন স্বামী ও পরিবারের চাপে তা তুলে নিতে চাইছেন।

ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্য, “আমি না বুঝেই ফজর আলীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেছি। পরিবারের কারো সঙ্গে আলোচনা করিনি। এখন স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা মামলা চালাতে রাজি না। আমি মামলাটি তুলে নিতে চাই, সন্তানদের নিয়ে শান্তিতে থাকতে চাই।”

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সুমনের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল ফজর আলীকে বিবস্ত্র করে নির্মমভাবে পেটাচ্ছে। ফজর আলীর হাত ও মাথা থেকে রক্ত ঝরছে, অপরদিকে সেই নারীকে বিবস্ত্র করে একসাথে বেঁধে রাখা হয় এবং সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করা হয়।

ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ জুন রাতে, উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে। স্থানীয়রা একে ‘পরকীয়া সম্পর্ক’ বলে দাবি করলেও, ওই নারীর ভাষ্য—ফজর আলীর সঙ্গে তার আর্থিক লেনদেন ছিল। পুলিশ এ ঘটনায় দুটি মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকন জানান, “ওই নারী ও ফজর আলীর মধ্যে পরকীয়া ছিল। ছাত্রলীগ নেতা সুমন আগেই ফাঁদ পেতে এভাবে ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেয়।” তিনি দাবি করেন, ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত এবং এর নেপথ্যে অন্য উদ্দেশ্যও থাকতে পারে।

সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ ও স্থানীয় নারী পেয়ারা বেগমসহ অনেকে জানিয়েছেন—ওই নারী ও ফজর আলীর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, এবং তাদের হাতে-নাতে ধরার জন্য পরিকল্পিতভাবে লোকজন ওঁৎ পেতে ছিল।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, “নতুন ভিডিও এখনো আমাদের হাতে আসেনি। তবে তদন্ত চলছে এবং ভিডিও হাতে এলে তা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক এমপি তুহিন বললেন, “আমি আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ না”

error:

মুরাদনগর ধর্ষণকাণ্ডে নতুন ভিডিও, মামলা তুলে নিতে চান ভুক্তভোগী নারী

আপডেট সময় ০৩:৪১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলার খবরঃ কুমিল্লার মুরাদনগরে আলোচিত ধর্ষণকাণ্ডে নতুন মোড় নিয়েছে ঘটনা। এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এক ভয়াবহ ভিডিও, যেখানে অভিযুক্ত ফজর আলীকে ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ আলী সুমনের নেতৃত্বে নির্যাতনের চিত্র দেখা যায়। অন্যদিকে, মামলার বাদী নারী জানিয়েছেন—তিনি না বুঝেই মামলা করেছেন এবং এখন স্বামী ও পরিবারের চাপে তা তুলে নিতে চাইছেন।

ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্য, “আমি না বুঝেই ফজর আলীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেছি। পরিবারের কারো সঙ্গে আলোচনা করিনি। এখন স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা মামলা চালাতে রাজি না। আমি মামলাটি তুলে নিতে চাই, সন্তানদের নিয়ে শান্তিতে থাকতে চাই।”

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সুমনের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল ফজর আলীকে বিবস্ত্র করে নির্মমভাবে পেটাচ্ছে। ফজর আলীর হাত ও মাথা থেকে রক্ত ঝরছে, অপরদিকে সেই নারীকে বিবস্ত্র করে একসাথে বেঁধে রাখা হয় এবং সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করা হয়।

ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ জুন রাতে, উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে। স্থানীয়রা একে ‘পরকীয়া সম্পর্ক’ বলে দাবি করলেও, ওই নারীর ভাষ্য—ফজর আলীর সঙ্গে তার আর্থিক লেনদেন ছিল। পুলিশ এ ঘটনায় দুটি মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকন জানান, “ওই নারী ও ফজর আলীর মধ্যে পরকীয়া ছিল। ছাত্রলীগ নেতা সুমন আগেই ফাঁদ পেতে এভাবে ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেয়।” তিনি দাবি করেন, ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত এবং এর নেপথ্যে অন্য উদ্দেশ্যও থাকতে পারে।

সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ ও স্থানীয় নারী পেয়ারা বেগমসহ অনেকে জানিয়েছেন—ওই নারী ও ফজর আলীর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, এবং তাদের হাতে-নাতে ধরার জন্য পরিকল্পিতভাবে লোকজন ওঁৎ পেতে ছিল।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, “নতুন ভিডিও এখনো আমাদের হাতে আসেনি। তবে তদন্ত চলছে এবং ভিডিও হাতে এলে তা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”