ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা Logo হবিগঞ্জে ইজিবাইক নিয়ে সংঘর্ষ, পুলিশসহ ৩০ জন আহত Logo ‘মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগীদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে’ Logo জামালপুরে ফুটবল লীগ আয়োজনে ডিএফএ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: কয়েক দিনের সংঘাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি, যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তির নিশ্বাস Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় গরু জবাই করে বিরিয়ানি খাওয়ালেন ইসলামি বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী Logo মাধবপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম Logo “সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ: নিরপেক্ষতা কি সম্ভব?” Logo পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, ড. কনক সরওয়ার ও জুলকারনাইন সায়েরের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে ভারত Logo মাস্ক ও লুঙ্গি পরে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

মাধবপুরে খিরার বাম্পার ফলনে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষক

  • শেখ ইমন আহমেদ
  • আপডেট সময় ০৪:৩৭:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৬০০ Time View

স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। খিরা চাষে কম খরচ ও বেশি লাভ হওয়ায় এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খিরা চাষ বেড়েছে। নতুন করে খিরা চাষে যুক্ত হয়েছেন অনেক চাষি।

উপজেলার বুল্লা গ্রামের কৃষক ধনু মিয়া জানান, তার জমিতে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। বুল্লা গ্রামে অন্যান্য চাষিরাও খিরা চাষে মনোযোগী হয়েছেন, কারণ বাজারে খিরার চাহিদা প্রচুর। পাইকাররা আগ্রহের সঙ্গে খিরা কিনছেন। বুল্লা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি খিরার ফলন হয়।

চাষি ছায়েদ মিয়া জানান, এ বছর খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে এবং দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। বর্তমানে প্রতি কেজি খিরার পাইকারি দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খিরা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। তিনি প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকার খিরা বিক্রি করছেন।

আরেক চাষি মাসুক মিয়া জানান, কয়েক বছর আগে পরিবারের অভাব মেটাতে ৩০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ শুরু করেন। এই বছর ৬০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে খিরা তোলা শুরু হয়েছে এবং এপ্রিল মাস পর্যন্ত তা চলবে। তবে দাম মার্চের পর কমে যেতে পারে। তবে সব মিলিয়ে, এবছর খিরা থেকে আয় গত বছরের তুলনায় বেশি হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউল হক জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাইব্রিড খিরাপাওয়া গেলেও বুল্লা ইউনিয়নে জমিতে দেশীয় খিরার ভালো ফলন হয়েছে। এখানকার খিরার স্বাদও বিশেষ, তাই বাজারে এর চাহিদা সব চেয়ে বেশি।

বুল্লা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে খিরা চাষ হলেও বুল্লা ইউনিয়নে খিরার ফলন সবচেয়ে বেশি হয়।

মাধবপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সজীব সরকার জানান, এবছর ৭০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। ফলন ও দাম বাড়ায় কৃষকের লাভ হয়েছে এবং স্থানীয় চাষিদের মধ্যে খিরা চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

লিটন বিন ইসলাম। বার্তা সম্পাদক- বাংলার খবর২৪ সবার আগে সব খবর পেতে বাংলার খবরের সাথেই থাকুন।।
জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা

মাধবপুরে খিরার বাম্পার ফলনে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষক

আপডেট সময় ০৪:৩৭:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। খিরা চাষে কম খরচ ও বেশি লাভ হওয়ায় এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খিরা চাষ বেড়েছে। নতুন করে খিরা চাষে যুক্ত হয়েছেন অনেক চাষি।

উপজেলার বুল্লা গ্রামের কৃষক ধনু মিয়া জানান, তার জমিতে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। বুল্লা গ্রামে অন্যান্য চাষিরাও খিরা চাষে মনোযোগী হয়েছেন, কারণ বাজারে খিরার চাহিদা প্রচুর। পাইকাররা আগ্রহের সঙ্গে খিরা কিনছেন। বুল্লা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি খিরার ফলন হয়।

চাষি ছায়েদ মিয়া জানান, এ বছর খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে এবং দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। বর্তমানে প্রতি কেজি খিরার পাইকারি দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খিরা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। তিনি প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকার খিরা বিক্রি করছেন।

আরেক চাষি মাসুক মিয়া জানান, কয়েক বছর আগে পরিবারের অভাব মেটাতে ৩০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ শুরু করেন। এই বছর ৬০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে খিরা তোলা শুরু হয়েছে এবং এপ্রিল মাস পর্যন্ত তা চলবে। তবে দাম মার্চের পর কমে যেতে পারে। তবে সব মিলিয়ে, এবছর খিরা থেকে আয় গত বছরের তুলনায় বেশি হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউল হক জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাইব্রিড খিরাপাওয়া গেলেও বুল্লা ইউনিয়নে জমিতে দেশীয় খিরার ভালো ফলন হয়েছে। এখানকার খিরার স্বাদও বিশেষ, তাই বাজারে এর চাহিদা সব চেয়ে বেশি।

বুল্লা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে খিরা চাষ হলেও বুল্লা ইউনিয়নে খিরার ফলন সবচেয়ে বেশি হয়।

মাধবপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সজীব সরকার জানান, এবছর ৭০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। ফলন ও দাম বাড়ায় কৃষকের লাভ হয়েছে এবং স্থানীয় চাষিদের মধ্যে খিরা চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।