
বাংলা খবর ডেস্ক:
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের গ্রামগঞ্জ। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছেন।
প্রবাসী অধ্যুষিত এই আসনে নির্বাচন এলেই বিদেশ থেকে দেশে ফেরেন বহু প্রবাসী রাজনীতিক। তারা নিজ নিজ এলাকায় বৈঠক, গণসংযোগ ও প্রচারণা চালান; তবে মনোনয়ন না পেলে আবারও ফিরে যান প্রবাসে। এবারের নির্বাচনের আগেও তেমন দৃশ্যই দেখা যাচ্ছে হবিগঞ্জ-১ আসনে।
১৯৮৪ সালে বৃহত্তর সিলেটকে বিভক্ত করে হবিগঞ্জ জেলা গঠিত হওয়ার পর থেকে এই আসনে বহুবার হাতবদল হয়েছে রাজনৈতিক ক্ষমতা। সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হন।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে নতুন নির্বাচনের আলোচনা জোরালো হচ্ছে। এদিকে বিএনপি, জামায়াত ও গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দলের প্রবাসী নেতারা দেশে এসে সক্রিয় হয়েছেন।
বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি (যুক্তরাজ্য প্রবাসী) আলহাজ শেখ সুজাত মিয়া এই আসনের অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী। তার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিএনপির সভাপতি শাহ মোজাম্মেল আলী নান্টু, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুখলেছুর রহমান মুখলিস এবং নবীগঞ্জের সাবেক পৌর মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরীও মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
এরইমধ্যে লন্ডন থেকে শেখ সুজাত মিয়া ও শিকাগো থেকে শাহ মোজাম্মেল আলী নান্টু দেশে এসেছেন। তারা স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন, সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন এবং নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
গুঞ্জন রয়েছে, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়াও প্রার্থী হতে পারেন। তবে তিনি কোন দল থেকে নির্বাচন করবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সিলেট মহানগরের সেক্রেটারি শাহজাহান আলীকে ইতিমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন জীবনও প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিএনপি নেতা শেখ সুজাত মিয়া বলেন, “দলের ক্রান্তিকালে আমি কর্মীদের পাশে ছিলাম। ২০১১ সালের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলাম। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, ইনশাআল্লাহ এই আসনটি তারেক রহমানকে উপহার দিতে পারবো।”
ছাবির আহমদ চৌধুরী বলেন, “আমি নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র হিসেবে জনগণের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক বজায় রেখেছি। এবারও মনোনয়ন চাইবো, আশা করি দল আমাকে বিবেচনা করবে।”
প্রবাসী নেতা শাহ মোজাম্মেল আলী নান্টু বলেন, “যদি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়, আমি মাঠে নামতে প্রস্তুত। জনগণের সেবা করতে চাই।”
লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা মুখলেছুর রহমান মুখলিস বলেন, “আওয়ামী স্বৈরশাসনের সময় আমি আন্দোলন করেছি, দেশ ছাড়তে হয়েছে। এবার ধানের শীষের কাণ্ডারি হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।”
জামায়াত প্রার্থী শাহজাহান আলী বলেন, “দল আগেই আমার মনোনয়ন নিশ্চিত করেছে। জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি, সুযোগ পেলে এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো।”
গণঅধিকার পরিষদের আবুল হোসেন জীবন বলেন, “আমরা ছোট দল হলেও এককভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছি। জনগণের পক্ষে দাঁড়াতে চাই।”
বাংলার খবর ডেস্ক : 


























