ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসে অনিয়ম

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:

মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি এম্বুলেন্স থাকলেও জরুরি সময়ে রোগীরা পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় সেবা। অভিযোগ উঠেছে, চালকের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে এম্বুলেন্স পরিচালিত হওয়ায় সাধারণ রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এম্বুলেন্সের জন্য যোগাযোগ করলে প্রায়ই বলা হয়—“গাড়ি নষ্ট” বা “বাইরে গেছে।” ফলে বাধ্য হয়ে রোগীর স্বজনদের বেসরকারি এম্বুলেন্স নিতে হচ্ছে, যেখানে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা ভাড়া নেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে এই নিয়ম মানা হচ্ছে না।

শাহ আলম নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, “সরকারি ভাড়া কম হওয়া সত্ত্বেও এম্বুলেন্স পাওয়া যায় না। চাহিদা থাকলেও নির্ধারিত নিয়মে সেবা দেওয়া হচ্ছে না।” তিনি এম্বুলেন্সে জিপিএস কিট স্থাপনের মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান ও চালকের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের দাবি জানান।

অন্যদিকে, এম্বুলেন্স চালক খোকন মিয়া দাবি করেন, “গাড়িটি পুরনো হওয়ায় মেরামতের প্রয়োজন পড়ে। মহাসড়কের খারাপ অবস্থায় রোগী পরিবহন করা অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।”

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইমরুল হাসান জাহাঙ্গীর বলেন, “এম্বুলেন্সটি অনেক পুরনো। রোগী পরিবহনের চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে নতুন এম্বুলেন্স বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, এখনো পাইনি।”

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ
error:

মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসে অনিয়ম

আপডেট সময় ১০:২৩:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:

মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি এম্বুলেন্স থাকলেও জরুরি সময়ে রোগীরা পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় সেবা। অভিযোগ উঠেছে, চালকের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে এম্বুলেন্স পরিচালিত হওয়ায় সাধারণ রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এম্বুলেন্সের জন্য যোগাযোগ করলে প্রায়ই বলা হয়—“গাড়ি নষ্ট” বা “বাইরে গেছে।” ফলে বাধ্য হয়ে রোগীর স্বজনদের বেসরকারি এম্বুলেন্স নিতে হচ্ছে, যেখানে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা ভাড়া নেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে এই নিয়ম মানা হচ্ছে না।

শাহ আলম নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, “সরকারি ভাড়া কম হওয়া সত্ত্বেও এম্বুলেন্স পাওয়া যায় না। চাহিদা থাকলেও নির্ধারিত নিয়মে সেবা দেওয়া হচ্ছে না।” তিনি এম্বুলেন্সে জিপিএস কিট স্থাপনের মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান ও চালকের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের দাবি জানান।

অন্যদিকে, এম্বুলেন্স চালক খোকন মিয়া দাবি করেন, “গাড়িটি পুরনো হওয়ায় মেরামতের প্রয়োজন পড়ে। মহাসড়কের খারাপ অবস্থায় রোগী পরিবহন করা অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।”

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইমরুল হাসান জাহাঙ্গীর বলেন, “এম্বুলেন্সটি অনেক পুরনো। রোগী পরিবহনের চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে নতুন এম্বুলেন্স বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, এখনো পাইনি।”