
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সোনাই আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন ডোবা থেকে অন্তঃসত্ত্বা মায়েশা (২০) নামের এক গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা লাশটি ডোবার কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রেখেছিল।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদউল্লা জানান, মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় স্থানীয়রা ডোবার কচুরিপানার ভিতরে একটি মরদেহের পা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের পরিচয় তার পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন।
মায়েশা উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের বিল্লাল মিয়ার মেয়ে। প্রায় এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে সোহাগ ওরফে রমজান মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়, যিনি সোনাই আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা এবং মৃত মুক্তিযোদ্ধা হাসিম মিয়ার ছেলে। বিয়ের পর থেকে দাম্পত্য কলহ চলছিল। প্রায় ১০ দিন আগে মায়েশা নিখোঁজ হন। তার খোঁজে পরিবারের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করেও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি, যার ফলে উদ্বেগ বাড়ে। ঘটনার পর সোহাগ আত্মগোপনে চলে যান।
পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যা। পুলিশ সোহাগের মা রুমানা বেগম (৫২) কে আটক করেছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়েছে।
ওসি শহিদউল্লা জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মামলা দায়ের করা হয়নি। তদন্ত চলছে এবং পুলিশ দোষীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।