ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মাধবপুরে ডোবার কচুরিপানায় গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার: পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা Logo মাধবপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনে মোবাইল কোর্ট: ২ জনের কারাদণ্ড Logo নোয়াপাড়া ইউনিয়নে প্রাথমিক মেধা বৃত্তি পরীক্ষা বাস্তবায়নে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত Logo মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে হলদারপুরে দোয়া মাহফিল Logo ঢাকায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স ও সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে ভারত Logo আর্থিক সহায়তার পোস্ট দিয়ে সরিয়ে নিল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং Logo শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে আহত ৪০, সচিবালয় উত্তাল Logo শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে শিক্ষা সচিব অপসারণ, জানালেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ Logo বিমান দুর্ঘটনায় পাইলটের বীরত্ব! প্রাণ বাঁচাতে জনবিরল স্থানে নেওয়ার চেষ্টা Logo প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান থাকতে পারবেন না, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত

মাধবপুরে ডোবার কচুরিপানায় গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার: পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সোনাই আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন ডোবা থেকে অন্তঃসত্ত্বা মায়েশা (২০) নামের এক গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা লাশটি ডোবার কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রেখেছিল।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদউল্লা জানান, মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় স্থানীয়রা ডোবার কচুরিপানার ভিতরে একটি মরদেহের পা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের পরিচয় তার পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন।

মায়েশা উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের বিল্লাল মিয়ার মেয়ে। প্রায় এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে সোহাগ ওরফে রমজান মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়, যিনি সোনাই আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা এবং মৃত মুক্তিযোদ্ধা হাসিম মিয়ার ছেলে। বিয়ের পর থেকে দাম্পত্য কলহ চলছিল। প্রায় ১০ দিন আগে মায়েশা নিখোঁজ হন। তার খোঁজে পরিবারের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করেও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি, যার ফলে উদ্বেগ বাড়ে। ঘটনার পর সোহাগ আত্মগোপনে চলে যান।

পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যা। পুলিশ সোহাগের মা রুমানা বেগম (৫২) কে আটক করেছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়েছে।

ওসি শহিদউল্লা জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মামলা দায়ের করা হয়নি। তদন্ত চলছে এবং পুলিশ দোষীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

মাধবপুরে ডোবার কচুরিপানায় গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার: পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা

error:

মাধবপুরে ডোবার কচুরিপানায় গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার: পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা

আপডেট সময় ১১:১০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সোনাই আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন ডোবা থেকে অন্তঃসত্ত্বা মায়েশা (২০) নামের এক গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা লাশটি ডোবার কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রেখেছিল।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদউল্লা জানান, মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় স্থানীয়রা ডোবার কচুরিপানার ভিতরে একটি মরদেহের পা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের পরিচয় তার পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন।

মায়েশা উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের বিল্লাল মিয়ার মেয়ে। প্রায় এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে সোহাগ ওরফে রমজান মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়, যিনি সোনাই আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা এবং মৃত মুক্তিযোদ্ধা হাসিম মিয়ার ছেলে। বিয়ের পর থেকে দাম্পত্য কলহ চলছিল। প্রায় ১০ দিন আগে মায়েশা নিখোঁজ হন। তার খোঁজে পরিবারের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করেও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি, যার ফলে উদ্বেগ বাড়ে। ঘটনার পর সোহাগ আত্মগোপনে চলে যান।

পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যা। পুলিশ সোহাগের মা রুমানা বেগম (৫২) কে আটক করেছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়েছে।

ওসি শহিদউল্লা জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মামলা দায়ের করা হয়নি। তদন্ত চলছে এবং পুলিশ দোষীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।