
বাংলার খবর ডেস্ক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে এবং দেশের সামনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে এবং গণতন্ত্রবিরোধীরা আবারও জোট বাঁধতে শুরু করেছে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনায় ফখরুল বলেন, যারা শোষণহীন সমাজ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ায় দেশের পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্র বিরোধীরা সংগঠিত হয়ে এটিকে ধ্বংসের চক্রান্ত করছে। যত দ্রুত নির্বাচন ও সংস্কার সম্পন্ন হবে, দেশের ততই মঙ্গল হবে।
তিনি ‘একাত্তর প্রশ্নে কোনো আপোস নেই’ মন্তব্য করে বলেন, ১৯৭১ আমাদের মূল বিশ্বাস ও সংগ্রাম। গণতন্ত্রে আপোস নয়, আলোচনা ও সহনশীলতার মাধ্যমে রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
আলোচনায় গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেখাতে ষড়যন্ত্র চলছে। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন ছাড়া রাজনৈতিক উত্তরণ সম্ভব নয়।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শেখ শহিদুল ইসলাম বাবলু, মোস্তফা জামাল হায়দার, হাসনাত কাইয়ুম, তানিয়া রব, মজিবুর রহমান মঞ্জু, নুরুল হক নূর, শহীদুল্লাহ কায়সার, এম মিজানুর রহমান, আখতার হোসেন, আবুল হাসান রুবেল, নাজমুল হক প্রধান ও নঈম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।