
বাংলার খবর ডেস্ক
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান শারমিন আহমদ ও সোহেল তাজ আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি হয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সাক্ষাতের খবর নিশ্চিত করেন এবং একটি ছবি প্রকাশ করেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকেও একই তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে তাজউদ্দীন পরিবারের পক্ষ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তাজউদ্দীন আহমদের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান হয়। একই সঙ্গে শারমিন আহমদ তার লেখা ‘তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা’ বইয়ের একটি কপি উপহার দেন ড. ইউনূসকে।
এই সাক্ষাৎ এমন এক সময়ে হলো, যখন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ এবং দলের নেত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলছে।
উল্লেখ্য, নবম জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনার সরকারে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন সোহেল তাজ। যদিও তিনি দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন না করে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই শেখ পরিবারের সঙ্গে তার দূরত্ব নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা শুরু হয়।
অন্যদিকে, শারমিন আহমদ বরাবরই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সমালোচনায় সোচ্চার। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এই লেখক ‘তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা’, ‘৩ নভেম্বর জেল হত্যার পূর্বাপর’ সহ একাধিক বইয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে শারমিন আহমদ মন্তব্য করেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
এদিকে আজ দুপুরে দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্টে সোহেল তাজ দাবি করেন, গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক হামলার লক্ষ্য ছিল জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উপর হামলা চালানো। তিনি এই হামলার পেছনে “ডেভিল রানী”-কে দায়ী করে লিখেছেন, ‘আমি অবাক হব না যদি তিনিই এ হামলার নির্দেশ দিয়ে থাকেন।’