
বাংলার খবর ডেস্ক
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দাবি করেছেন, জুলাই বিপ্লবীদের মধ্য থেকে অনতিবিলম্বে অন্তত ৫০ হাজার তরুণকে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। তিনি বলেন, দেশের পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করতে হলে যুবকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যুক্ত করতে হবে।
গতকাল বুধবার রাতে কাকরাইল এলাকায় এক বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে রাশেদ খান বলেন, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে এবং ঘটনাটিকে ঘিরে দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, গোপালগঞ্জের ঘটনায় বেশিরভাগ পুলিশ সদস্য নিষ্ক্রিয় ছিলেন। আইন উপদেষ্টার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, পুলিশের ৮০% সদস্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগপন্থী। এ কারণে হামলার সময় বেশিরভাগ পুলিশ সদস্য চুপ ছিল, আর মাত্র ২০% সদস্য প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এনসিপি নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী, যা প্রশংসনীয়। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, অবিলম্বে বিপ্লবীদের মধ্য থেকে অন্তত ৫০ হাজার ছাত্র-যুবককে পুলিশ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
রাশেদ খান আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে কোনো ধরনের মিছিল বা জমায়েত করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। তিনি রাজনৈতিক ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়তে হবে।