ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নবীগঞ্জে লটারির মাধ্যমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৭ জন ডিলার নিয়োগ Logo নবীগঞ্জে ধান সংগ্রহে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন Logo আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম হবিগঞ্জ জেলার পুনর্গঠিত কমিটির সাথে আমীরে আঞ্জুমানের মতবিনিময় Logo চুনারুঘাট লস্করপুর ভ্যালির চা শ্রমিকরা মুল্লুক চলো দিবস পালন করেছে Logo লাখাই বাসীকে কেন এত লোডশেডিং সয্য করতে হবে Logo দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা Logo মাধবপুরে দুনীর্তি প্রতিরোধ কমিটির বির্তক প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত Logo হবিগঞ্জে ভাবী ও ভাতিজিসহ তিনজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড Logo নুসরাত ফারিয়ার জামিন মঞ্জুর Logo বানিয়াচংয়ে পূবালী ব্যাংকের ইসলামী কর্নার উদ্বোধন

লাখাইয়ে ৩৫ গ্রামের মানুষের নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো, দেখার যেনো কেউ নেই

  • পারভেজ হাসান
  • আপডেট সময় ০৩:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • ৫৯৮ Time View

পারভেজ হাসান লাখাই প্রতিনিধি:
লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের বুল্লা বাজার সংলগ্ন স্থানে সুতাং নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় ভাটি এলাকার ৩৫ টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হলেও নির্মাণ হয়নি এখানে একটি ব্রিজ। ফলে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয় গ্রামবাসীদের।

স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে, ব্রিজ না থাকায় শিক্ষা, চিকিৎসা ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। নদীর দুই পাড়ে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। ফলে জরুরি অনেক সুযোগ-সুবিধা ও সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে এই এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়রা ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ প্রসঙ্গে গোপালপুর গ্রামের বিজয় সরকার বলেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। কিন্তু নির্বাচনের পর আর কেউ আমাদের খোঁজ-খবর রাখে না। আমরা অনেকদিন ধরে সুতাং নদীর উপর একটি ব্রিজের স্বপ্ন দেখছি কিন্তু আমদের স্বপ্ন আজ পর্যন্ত বাস্তবে পরিণত হলো না।

সিংহগ্রামের এক কৃষক সুমায়ুন মিয়া বলেন, একটি ব্রিজের অভাবে আমাদের জমি থেকে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে খুব কষ্ট হয়। ফলে বাধ্য হয়ে বিকল্প রাস্তা দিয়ে কৃষিপণ্য নিতে দ্বিগুণ খরচ হয়। এতে আমরা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হই। সরকারের কাছে দাবি, আমাদের মতো গরীব অসহায়দের কথা চিন্তা করে একটা ব্রিজ নির্মাণ করে সুতাং নদীতে।

শিক্ষার্থী বাপ্পি বলেন, বাঁশের সাঁকো পার হয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যেতে ভয় করে। তারপরও যেতে হয়। ব্রিজটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পড়ালেখার কথা চিন্তা করে ব্রিজটা যেনো করে দেয়।

এ বিষয়ে বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোকন চন্দ্র গোপ সৌরভ বলেন, এই ব্রিজটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রিজ। এই ব্রিজটি দিয়ে ৪/৫ টা ইউনিয়নের  হাজার হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করে। এখানে পাকা ব্রিজ না থাকায় মানুষ অনেক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু, শিক্ষার্থী ও নারীরা বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি ব্রিজটি নির্মাণের ব্যাপারে।বিগত ৩-৪ বছর আগে সার্ভে হয়েছিল ব্রিজ করার জন্য কিন্তু কি কারণে ব্রীজটি হয়নি সেটা জানি না। 

এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিডি) কর্মকর্তা এহতেসামুল হক বলেন,বর্তমানে কোন বরাদ্দ নেই তবে খুব তাড়াতাড়ি এরকম প্রজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ৩-৪ বছর আগে সার্ভে হওয়ার পর কেন এখন পর্যন্ত বীজ হয়নি জবাবে বলেন সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না। 

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বাংলার খবর
জনপ্রিয় সংবাদ

নবীগঞ্জে লটারির মাধ্যমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৭ জন ডিলার নিয়োগ

error:

লাখাইয়ে ৩৫ গ্রামের মানুষের নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো, দেখার যেনো কেউ নেই

আপডেট সময় ০৩:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

পারভেজ হাসান লাখাই প্রতিনিধি:
লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের বুল্লা বাজার সংলগ্ন স্থানে সুতাং নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় ভাটি এলাকার ৩৫ টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হলেও নির্মাণ হয়নি এখানে একটি ব্রিজ। ফলে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয় গ্রামবাসীদের।

স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে, ব্রিজ না থাকায় শিক্ষা, চিকিৎসা ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। নদীর দুই পাড়ে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। ফলে জরুরি অনেক সুযোগ-সুবিধা ও সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে এই এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়রা ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ প্রসঙ্গে গোপালপুর গ্রামের বিজয় সরকার বলেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। কিন্তু নির্বাচনের পর আর কেউ আমাদের খোঁজ-খবর রাখে না। আমরা অনেকদিন ধরে সুতাং নদীর উপর একটি ব্রিজের স্বপ্ন দেখছি কিন্তু আমদের স্বপ্ন আজ পর্যন্ত বাস্তবে পরিণত হলো না।

সিংহগ্রামের এক কৃষক সুমায়ুন মিয়া বলেন, একটি ব্রিজের অভাবে আমাদের জমি থেকে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে খুব কষ্ট হয়। ফলে বাধ্য হয়ে বিকল্প রাস্তা দিয়ে কৃষিপণ্য নিতে দ্বিগুণ খরচ হয়। এতে আমরা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হই। সরকারের কাছে দাবি, আমাদের মতো গরীব অসহায়দের কথা চিন্তা করে একটা ব্রিজ নির্মাণ করে সুতাং নদীতে।

শিক্ষার্থী বাপ্পি বলেন, বাঁশের সাঁকো পার হয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যেতে ভয় করে। তারপরও যেতে হয়। ব্রিজটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পড়ালেখার কথা চিন্তা করে ব্রিজটা যেনো করে দেয়।

এ বিষয়ে বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোকন চন্দ্র গোপ সৌরভ বলেন, এই ব্রিজটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রিজ। এই ব্রিজটি দিয়ে ৪/৫ টা ইউনিয়নের  হাজার হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করে। এখানে পাকা ব্রিজ না থাকায় মানুষ অনেক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু, শিক্ষার্থী ও নারীরা বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি ব্রিজটি নির্মাণের ব্যাপারে।বিগত ৩-৪ বছর আগে সার্ভে হয়েছিল ব্রিজ করার জন্য কিন্তু কি কারণে ব্রীজটি হয়নি সেটা জানি না। 

এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিডি) কর্মকর্তা এহতেসামুল হক বলেন,বর্তমানে কোন বরাদ্দ নেই তবে খুব তাড়াতাড়ি এরকম প্রজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ৩-৪ বছর আগে সার্ভে হওয়ার পর কেন এখন পর্যন্ত বীজ হয়নি জবাবে বলেন সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না।