ঢাকা ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

মাধবপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

বাংলার খবর ডেস্ক

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বরুড়া গ্রামে পুকুরে ডুবে একসাথে দুই শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে এ হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে।

নিহত দুই শিশু হলো—একরাম মিয়া (৭) ও তামান্না আক্তার (৭)। একরাম মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সুরমা গ্রামের আনাম মিয়ার ছেলে। সে নানা আইয়ুব আলীর বাড়িতে বরুড়া গ্রামে থাকত। তামান্না বরুড়া গ্রামের সুলেমান মিয়ার মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে খেলার এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায় একরাম ও তামান্না। পরে দীর্ঘ সময় তাদের দেখতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। স্থানীয়দের সহায়তায় পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে দু’জনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

শিশুদের এমন করুণ মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত একরামের মা মর্জিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার মানিক ধন এভাবে চলে যাবে, ভাবতেই পারিনি। এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব!”

খবর পেয়ে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদ উল্লাহ ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

লাখাইয়ে সরকারি খাল দখল, তিন মাসেও নেই ব্যবস্থা: ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা

error:

মাধবপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

আপডেট সময় ০৬:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্ক

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বরুড়া গ্রামে পুকুরে ডুবে একসাথে দুই শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে এ হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে।

নিহত দুই শিশু হলো—একরাম মিয়া (৭) ও তামান্না আক্তার (৭)। একরাম মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সুরমা গ্রামের আনাম মিয়ার ছেলে। সে নানা আইয়ুব আলীর বাড়িতে বরুড়া গ্রামে থাকত। তামান্না বরুড়া গ্রামের সুলেমান মিয়ার মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে খেলার এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায় একরাম ও তামান্না। পরে দীর্ঘ সময় তাদের দেখতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। স্থানীয়দের সহায়তায় পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে দু’জনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

শিশুদের এমন করুণ মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত একরামের মা মর্জিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার মানিক ধন এভাবে চলে যাবে, ভাবতেই পারিনি। এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব!”

খবর পেয়ে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদ উল্লাহ ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।