
মোঃ শরিফ উদ্দিন বাবু, শেরপুর প্রতিনিধি: “ডিসি অফিসের চালকের প্রাইভেটকার থেকে ৩০২ বোতল মদ উদ্ধার” — এমন শিরোনামে সম্প্রতি কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত সরকারি চালক মো. শফিকুল ইসলাম।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ জুলাই ময়মনসিংহের শিকারীকান্দা মোড় এলাকায়। সেখানে ঢাকা মেট্রো-গ ২২-১১৮৯ নম্বরের একটি সাদা প্রাইভেটকার থেকে ৩০২ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। সংবাদে দাবি করা হয়, গাড়িটি ডিসি অফিসের ড্রাইভার শফিকুল ইসলামের এবং চালক পালিয়ে যায়। তবে এই দাবিকে ‘ভুয়া ও বানোয়াট’ উল্লেখ করে শফিকুল ইসলাম স্পষ্ট জানান, “উক্ত গাড়ির সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
তিনি বলেন, গাড়িটির প্রকৃত মালিক জনৈক শাকিল আহাম্মেদ রায়হান। এর প্রমাণ রয়েছে এফিডেভিট (সিরিয়াল নং: ১৩৪/২৪) এবং বিআরটিএর বৈধ কাগজপত্রে। এছাড়া মামলাটিও হয়েছে ১৭ জুলাই ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় (মামলা নং: ৬৫), যেখানে অভিযুক্ত হিসেবে আকাশ হোসাইন নামক একজন চালকের নাম রয়েছে। সেখানে কোথাও শফিকুল ইসলামের নাম নেই।
শফিকুল আরও জানান, তার নামে নিবন্ধিত একটি পুরাতন গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-গ ২৫-৯৫৩৯) তিনি তিন মাস আগে বিক্রি করে দিয়েছেন। সেটিরও কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি অভিযোগ করেন, “গাড়ির ব্যবসা ও পেশাগত দ্বন্দ্বে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশ ও সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।” তিনি অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এবং তার সম্মান রক্ষার্থে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।