
স্টাফ রিপোর্টার | বাংলার খবরঃ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনে নীতিগত ঐক্য থাকলেও, আনুপাতিক ভোট পদ্ধতি নিয়ে রয়েছে ভিন্নমত। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, “সংখ্যাানুপাতিক ভোট ব্যবস্থায় অধিকাংশ দল সম্মত হলেও কিছু রাজনৈতিক দল এই পদ্ধতিতে আপত্তি জানিয়েছে। তবে আলোচনা চলবে, এবং আমরা সমাধানের দিকে এগোবো।”
নতুন কাঠামোর প্রস্তাব
কমিশনের পক্ষ থেকে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) বাতিল করে ‘নিয়োগ কমিটি’ নামে একটি নতুন কাঠামোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি ৬টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখবে, যেমন:
নির্বাচন কমিশন
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)
মহা হিসাব নিরীক্ষক
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
তথ্য কমিশন
এই কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন:
প্রধানমন্ত্রী
সংসদের স্পিকার
উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠিত হলে, তার স্পিকার
বিরোধীদলের নেতা
অন্য বিরোধীদল থেকে একজন প্রতিনিধি
রাষ্ট্রপতির একজন প্রতিনিধি (রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ ব্যক্তি)
প্রধান বিচারপতির মনোনীত একজন আপিল বিভাগের বিচারপতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কী হবে?
আলোচনায় উঠে এসেছে, সংসদ না থাকলে (তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়) এই কমিটি বহাল থাকবে কি না। অধিকাংশ দল মত দিয়েছে, ওই সময় শুধু নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের সীমিত ক্ষমতা থাকবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে। অন্য কোনো কমিশনের নিয়োগে তাদের ভূমিকা থাকবে না।
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরবর্তী আলোচনা শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে। এখনও যেসব দল চূড়ান্তভাবে একমত হয়নি, তাদেরকে প্রস্তাবটি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।