ঢাকা ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সৌদিতে ভিসা বিরোধে গণধোলাইয়ের জেরে মাধবপুরে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত শতাধিক Logo নবীগঞ্জে বিনামূল্যে টাইফয়েড ভ্যাক্সিন পাবে লক্ষাধিক শিশু Logo লাখাইয়ে ওরসের নামের নৌকায় অশ্লীল নাচ-গান, ধর্মপ্রাণরা ক্ষুব্ধ Logo বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতাসহ কয়েকটি দাবি পূরণের আশ্বাসে শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত Logo ১৯ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে বিটিভির জনপ্রিয় শিশু-কিশোর অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’ Logo এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় লাখাইয়ের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, যুক্তিসঙ্গত ভাতারও দাবি Logo মাধবপুরে এনজিওর টাকা আত্মসাৎ: দুইজনের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড Logo লাখাইয়ে সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা Logo নবীগঞ্জে শিশু পার্ক ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন Logo নির্ধারিত সরকারি ফি ছাড়া বেশি নিলে পরদিন সচিবকে বদলি- নবীগঞ্জে জেলা প্রশাসক
ভুক্তভোগীর মামলা

অন্যের জমি আত্মসাৎ করতে বাবা-মায়ের নাম পাল্টালেন এনবিআর কর্মকর্তা

অন্যের সম্পত্তি ভোগদখল এবং সরকারি চাকরিতে যোগদান করতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে নিজ মা-বাবার নাম পরিবর্তন করার অভিযোগ উঠেছে মো. হুমায়ুন কবির (৩৭) নামের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির বর্তমানে এনবিআর কর অঞ্চল-২৪ এর ইন্সপেক্টর অব ট্যাক্স পদে কর্মরত। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের শুভপুর ইউনিয়নের কাদঘর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে।

এ ঘটনায় কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা করেন তার চাচাতো ভাই শাহ আলম (৪৫)। মামলার বর্ণনায় তিনি উল্লেখ করেন, তার মা হাফেজা খাতুনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর বাবা জয়নাল আবেদীন সাফিয়া খাতুন ওরফে সাকিয়া বেগমকে বিয়ে করেন। সম্পর্কে হুমায়ুন কবির তার চাচাতো ভাই। তিনি নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রে তার (বাদী) মা ও বাবার নাম ব্যবহার করেছেন। উদ্দেশ্য ছিল তার পরিবারের সম্পত্তিতে ভাগ বসানো। এছাড়া নিজ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদেও নাম পরিবর্তন করেছেন এনবিআর কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।

মামলায় বাদী আরও উল্লেখ করেন, হুমায়ুন কবির আমার সৎমা সাফিয়া খাতুন ওরফে সাকিয়া বেগমের কাছ থেকে জালিয়াতি করে ২০১৫ সালের ১৪ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমে ৬ শতক ভূমি হেবানামা (দানপত্র) দলিল করে নেন। ওই দলিলে হুমায়ুন কবির চাচা জয়নাল আবেদীনকে নিজের বাবা এবং শাহ আলমের সৎমা সাফিয়া খাতুনকে নিজের মা উল্লেখ করেন। একই বছরের ২২ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমে হুমায়ুন কবির তার আপন ভাই জালাল আহম্মদকে হেবাকৃত ৬ শতক জায়গাসহ মোট ৯ শতক জায়গা পুনরায় হেবানামা দলিল করে দেন। কিন্তু ওই দলিলে হুমায়ুন কবির তার বাবার নাম উল্লেখ করেন আমির হোসেন এবং মা সালেহা বেগম।

বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ বিভাগ (সিআইডি) কুমিল্লাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী শাহ আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘হুমায়ুন কবির আমার আপন চাচাতো ভাই। তিনি আমার বাবার সম্পত্তি ভোগদখল করতে এবং সরকারি চাকরিতে যোগদানের জন্য পরিকল্পিতভাবে আমার বাবা ও সৎমায়ের নাম ব্যবহার করেছেন। বিষয়টি জানার পর তার বিরুদ্ধে মামলা করলে তিনি আমাকে হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।’

অভিযোগের বিষয়ে এনবিআর কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের বক্তব্য জানতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে কলা করা হয়। তবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। একপর্যায়ে সংযোগ কেটে দেন। পরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা (সিআইডি কুমিল্লার পরিদর্শক) হুমায়ুন কবির বলেন, দীর্ঘ তদন্তে হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বাংলার খবর

সৌদিতে ভিসা বিরোধে গণধোলাইয়ের জেরে মাধবপুরে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত শতাধিক

error:

ভুক্তভোগীর মামলা

অন্যের জমি আত্মসাৎ করতে বাবা-মায়ের নাম পাল্টালেন এনবিআর কর্মকর্তা

আপডেট সময় ০৯:৩৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

অন্যের সম্পত্তি ভোগদখল এবং সরকারি চাকরিতে যোগদান করতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে নিজ মা-বাবার নাম পরিবর্তন করার অভিযোগ উঠেছে মো. হুমায়ুন কবির (৩৭) নামের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির বর্তমানে এনবিআর কর অঞ্চল-২৪ এর ইন্সপেক্টর অব ট্যাক্স পদে কর্মরত। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের শুভপুর ইউনিয়নের কাদঘর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে।

এ ঘটনায় কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা করেন তার চাচাতো ভাই শাহ আলম (৪৫)। মামলার বর্ণনায় তিনি উল্লেখ করেন, তার মা হাফেজা খাতুনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর বাবা জয়নাল আবেদীন সাফিয়া খাতুন ওরফে সাকিয়া বেগমকে বিয়ে করেন। সম্পর্কে হুমায়ুন কবির তার চাচাতো ভাই। তিনি নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রে তার (বাদী) মা ও বাবার নাম ব্যবহার করেছেন। উদ্দেশ্য ছিল তার পরিবারের সম্পত্তিতে ভাগ বসানো। এছাড়া নিজ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদেও নাম পরিবর্তন করেছেন এনবিআর কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।

মামলায় বাদী আরও উল্লেখ করেন, হুমায়ুন কবির আমার সৎমা সাফিয়া খাতুন ওরফে সাকিয়া বেগমের কাছ থেকে জালিয়াতি করে ২০১৫ সালের ১৪ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমে ৬ শতক ভূমি হেবানামা (দানপত্র) দলিল করে নেন। ওই দলিলে হুমায়ুন কবির চাচা জয়নাল আবেদীনকে নিজের বাবা এবং শাহ আলমের সৎমা সাফিয়া খাতুনকে নিজের মা উল্লেখ করেন। একই বছরের ২২ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমে হুমায়ুন কবির তার আপন ভাই জালাল আহম্মদকে হেবাকৃত ৬ শতক জায়গাসহ মোট ৯ শতক জায়গা পুনরায় হেবানামা দলিল করে দেন। কিন্তু ওই দলিলে হুমায়ুন কবির তার বাবার নাম উল্লেখ করেন আমির হোসেন এবং মা সালেহা বেগম।

বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ বিভাগ (সিআইডি) কুমিল্লাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী শাহ আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘হুমায়ুন কবির আমার আপন চাচাতো ভাই। তিনি আমার বাবার সম্পত্তি ভোগদখল করতে এবং সরকারি চাকরিতে যোগদানের জন্য পরিকল্পিতভাবে আমার বাবা ও সৎমায়ের নাম ব্যবহার করেছেন। বিষয়টি জানার পর তার বিরুদ্ধে মামলা করলে তিনি আমাকে হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।’

অভিযোগের বিষয়ে এনবিআর কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের বক্তব্য জানতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে কলা করা হয়। তবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। একপর্যায়ে সংযোগ কেটে দেন। পরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা (সিআইডি কুমিল্লার পরিদর্শক) হুমায়ুন কবির বলেন, দীর্ঘ তদন্তে হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।