ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চোর সন্দেহ পিটিয়ে হত্যা, ৭ দিন পর লাশ উদ্ধার

ছবি - সংগৃহীত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কাপাই চা বাগানে মাটিতে পুঁতে রাখা একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

নিহত লিটন মিয়া (৩২) মাধবপুর উপজেলার গোয়াছ নগর গ্রামের ছায়েদ আলীর ছেলে।

পুলিশ বলছে, চোর সন্দেহে লিটনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ চা বাগানে পুঁতে রাখেন হত্যাকারীরা।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল লাকড়ি সংগ্রহের জন্য সাতছড়ি বাগানের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন লিটন। এরপর থেকে তার হদিস মিলছিল না। স্বজনেরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় গত বুধবার লিটনের স্বজনেরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উপজেলার কাপাই চা বাগান বাজার থেকে প্রমোদ রিকমন (৩২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেন তারা। তার দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কাপাই চা বাগানের ৯ নম্বর লাইনের পাহাড়ি এলাকায় মাটির নিচ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে লিটনের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেফতার হওয়া প্রমোদ জানান, সম্প্রতি তার ১০টি গরু চুরি হয়। গত ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় লিটনকে চোর সন্দেহে আটক করে প্রমোদসহ কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করেন। এতে মারা যান লিটন। পরে লাশটি মাটিতে পুঁতে রাখেন তারা।

চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া আসামির তথ্যের ভিত্তিতে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বাংলার খবর
error:

চোর সন্দেহ পিটিয়ে হত্যা, ৭ দিন পর লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৩:৪২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কাপাই চা বাগানে মাটিতে পুঁতে রাখা একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

নিহত লিটন মিয়া (৩২) মাধবপুর উপজেলার গোয়াছ নগর গ্রামের ছায়েদ আলীর ছেলে।

পুলিশ বলছে, চোর সন্দেহে লিটনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ চা বাগানে পুঁতে রাখেন হত্যাকারীরা।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল লাকড়ি সংগ্রহের জন্য সাতছড়ি বাগানের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন লিটন। এরপর থেকে তার হদিস মিলছিল না। স্বজনেরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় গত বুধবার লিটনের স্বজনেরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উপজেলার কাপাই চা বাগান বাজার থেকে প্রমোদ রিকমন (৩২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেন তারা। তার দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কাপাই চা বাগানের ৯ নম্বর লাইনের পাহাড়ি এলাকায় মাটির নিচ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে লিটনের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেফতার হওয়া প্রমোদ জানান, সম্প্রতি তার ১০টি গরু চুরি হয়। গত ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় লিটনকে চোর সন্দেহে আটক করে প্রমোদসহ কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করেন। এতে মারা যান লিটন। পরে লাশটি মাটিতে পুঁতে রাখেন তারা।

চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া আসামির তথ্যের ভিত্তিতে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’