ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জামালপুরে ফুটবল লীগ আয়োজনে ডিএফএ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: কয়েক দিনের সংঘাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি, যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তির নিশ্বাস Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় গরু জবাই করে বিরিয়ানি খাওয়ালেন ইসলামি বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী Logo মাধবপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম Logo “সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ: নিরপেক্ষতা কি সম্ভব?” Logo পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, ড. কনক সরওয়ার ও জুলকারনাইন সায়েরের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে ভারত Logo মাস্ক ও লুঙ্গি পরে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ Logo আগেও দুইবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল Logo মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান Logo দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো একটানা ২১দিন বন্ধ থাকবে

ছাত্রীদের শয়নকক্ষে সিসি ক্যামেরা, ঘরে বসে দেখতেন মাদরাসা শিক্ষক

প্রতীকী ছবি

যশোরের শার্শা উপজেলার একটি কওমি মাদ্রাসায় ছাত্রীদের শয়নকক্ষে দুটি করে নাইট ভিশন ক্যামেরা স্থাপন করা ছিল। ওই ক্যামেরার মনিটর শিক্ষকের কক্ষে ছিল।

অভিভাবকদের অভিযোগে বুধবার বিকালে সেখানে প্রশাসন অভিযান চালায়। অভিযানে ছাত্রীদের কক্ষ থেকে ১৬টি সিসি ক্যামেরা ও শিক্ষকের কক্ষ থেকে মনিটর জব্দ করা হয়েছে।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক আবু তাহেরকে (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিয়ে যায়। পরে যখনই ডাকা হবে, তখনই হাজির হওয়ার শর্তে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

অভিযানে থাকা যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, কওমি মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় দুই শিক্ষক থাকেন। ওপরের চারটি তলায় আবাসিক থেকে মেয়েরা লেখাপড়া করে। মেয়েদের শয়নকক্ষে দুটি করে নাইট ভিশন ক্যামেরা স্থাপন করা ছিল। ওই ক্যামেরার মনিটর শিক্ষকের কক্ষে ছিল। মাদ্রাসাটিতে ছাত্রীদের কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যাপারে একজন অভিভাবক যশোরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে নারী পুলিশ সদস্য পাঠিয়ে এগুলো জব্দ করা হয়ে। এক মাসের ফুটেজের রেকর্ড আছে। সেগুলো যাচাইবাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, মেয়েদের শোবার ঘরে ক্যামেরা স্থাপন করে তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব করা হয়েছে। এটা কেউ করতে পারেন না।

এদিকে মাদ্রাসার মালিক, পরিচালক ও শিক্ষক আবু তাহের দাবি করেন, নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তিনি যখন সিসি ক্যামেরা দেখেন, তখন তার স্ত্রী সঙ্গে থাকেন। সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করেন প্রতিষ্ঠানের নারী প্রধান শিক্ষক।

তিনি আরো বলেন, গত বছর মাদ্রাসায় ১৮০ মেয়ে ভর্তি হয়েছিল। এখন ভর্তি চলছে। ১২ জন শিক্ষক আছেন। এর মধ্যে নয়জন নারী ও তিনজন পুরুষ।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে ফুটবল লীগ আয়োজনে ডিএফএ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত

error:

ছাত্রীদের শয়নকক্ষে সিসি ক্যামেরা, ঘরে বসে দেখতেন মাদরাসা শিক্ষক

আপডেট সময় ০৫:১৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

যশোরের শার্শা উপজেলার একটি কওমি মাদ্রাসায় ছাত্রীদের শয়নকক্ষে দুটি করে নাইট ভিশন ক্যামেরা স্থাপন করা ছিল। ওই ক্যামেরার মনিটর শিক্ষকের কক্ষে ছিল।

অভিভাবকদের অভিযোগে বুধবার বিকালে সেখানে প্রশাসন অভিযান চালায়। অভিযানে ছাত্রীদের কক্ষ থেকে ১৬টি সিসি ক্যামেরা ও শিক্ষকের কক্ষ থেকে মনিটর জব্দ করা হয়েছে।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক আবু তাহেরকে (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিয়ে যায়। পরে যখনই ডাকা হবে, তখনই হাজির হওয়ার শর্তে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

অভিযানে থাকা যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, কওমি মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় দুই শিক্ষক থাকেন। ওপরের চারটি তলায় আবাসিক থেকে মেয়েরা লেখাপড়া করে। মেয়েদের শয়নকক্ষে দুটি করে নাইট ভিশন ক্যামেরা স্থাপন করা ছিল। ওই ক্যামেরার মনিটর শিক্ষকের কক্ষে ছিল। মাদ্রাসাটিতে ছাত্রীদের কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যাপারে একজন অভিভাবক যশোরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে নারী পুলিশ সদস্য পাঠিয়ে এগুলো জব্দ করা হয়ে। এক মাসের ফুটেজের রেকর্ড আছে। সেগুলো যাচাইবাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, মেয়েদের শোবার ঘরে ক্যামেরা স্থাপন করে তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব করা হয়েছে। এটা কেউ করতে পারেন না।

এদিকে মাদ্রাসার মালিক, পরিচালক ও শিক্ষক আবু তাহের দাবি করেন, নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তিনি যখন সিসি ক্যামেরা দেখেন, তখন তার স্ত্রী সঙ্গে থাকেন। সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করেন প্রতিষ্ঠানের নারী প্রধান শিক্ষক।

তিনি আরো বলেন, গত বছর মাদ্রাসায় ১৮০ মেয়ে ভর্তি হয়েছিল। এখন ভর্তি চলছে। ১২ জন শিক্ষক আছেন। এর মধ্যে নয়জন নারী ও তিনজন পুরুষ।