ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক বিলের দখল নিয়ে রক্তক্ষয়: লাখাইয়ের খাইঞ্জা বিলে উত্তেজনা অব্যাহত

বাংলার খবর লাখাই প্রতিনিধি পারভেজ হাসান
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর ধার ঘেঁষে অবস্থিত খাইঞ্জা বিলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে উত্তেজনা, দখলদারিত্ব ও সংঘর্ষের ঘটনা। মাছের প্রাচুর্যে সমৃদ্ধ এই বিল এখন পরিণত হয়েছে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে, যেখানে আহত হয়েছেন বহু মানুষ এবং নৌকা পোড়ানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ধলেশ্বরী নদীর তৃতীয় খণ্ডের এই জলমহালের ইজারা ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কয়েক মাস ধরে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিলের মাছ আহরণ ও বিক্রি থেকে প্রতিবছর বিপুল অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যায়। এই অর্থনৈতিক স্বার্থকে কেন্দ্র করেই স্থানীয় বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতা বাড়তে থাকে, যার ফলেই সংঘর্ষের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।

মৎস্যজীবী সমবায়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, প্রকৃত মৎস্যজীবীরা যেন সুষ্ঠুভাবে মাছ ধরার সুযোগ পান, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রয়োজন রয়েছে। অন্যদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিছু প্রভাবশালী মহল ইজারাকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে।

এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন—বিলের ইজারা কি মানুষের জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ? বারবার সংঘর্ষ, আহত হওয়ার ঘটনা এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে স্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন এখনই।

এলাকাবাসী মনে করছেন, প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া এ ধরনের সংঘাত থামানো সম্ভব নয়। সংঘাতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রকৃত মৎস্যজীবীদের অধিকার নিশ্চিত করা এবং ইজারা নীতিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলমহালের ইজারা নীতিসহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা গেলে এলাকায় স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। খাইঞ্জা বিল যেন আবারও তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মাছের প্রাচুর্য নিয়ে সকলের জন্য উন্মুক্ত হতে পারে—এটাই স্থানীয় মানুষের প্রত্যাশা।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বাংলার খবর
জনপ্রিয় সংবাদ
error:

এক বিলের দখল নিয়ে রক্তক্ষয়: লাখাইয়ের খাইঞ্জা বিলে উত্তেজনা অব্যাহত

আপডেট সময় ০৭:২৭:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলার খবর লাখাই প্রতিনিধি পারভেজ হাসান
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর ধার ঘেঁষে অবস্থিত খাইঞ্জা বিলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে উত্তেজনা, দখলদারিত্ব ও সংঘর্ষের ঘটনা। মাছের প্রাচুর্যে সমৃদ্ধ এই বিল এখন পরিণত হয়েছে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে, যেখানে আহত হয়েছেন বহু মানুষ এবং নৌকা পোড়ানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ধলেশ্বরী নদীর তৃতীয় খণ্ডের এই জলমহালের ইজারা ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কয়েক মাস ধরে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিলের মাছ আহরণ ও বিক্রি থেকে প্রতিবছর বিপুল অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যায়। এই অর্থনৈতিক স্বার্থকে কেন্দ্র করেই স্থানীয় বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতা বাড়তে থাকে, যার ফলেই সংঘর্ষের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।

মৎস্যজীবী সমবায়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, প্রকৃত মৎস্যজীবীরা যেন সুষ্ঠুভাবে মাছ ধরার সুযোগ পান, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রয়োজন রয়েছে। অন্যদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিছু প্রভাবশালী মহল ইজারাকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে।

এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন—বিলের ইজারা কি মানুষের জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ? বারবার সংঘর্ষ, আহত হওয়ার ঘটনা এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে স্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন এখনই।

এলাকাবাসী মনে করছেন, প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া এ ধরনের সংঘাত থামানো সম্ভব নয়। সংঘাতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রকৃত মৎস্যজীবীদের অধিকার নিশ্চিত করা এবং ইজারা নীতিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলমহালের ইজারা নীতিসহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা গেলে এলাকায় স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। খাইঞ্জা বিল যেন আবারও তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মাছের প্রাচুর্য নিয়ে সকলের জন্য উন্মুক্ত হতে পারে—এটাই স্থানীয় মানুষের প্রত্যাশা।