ঢাকা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo লাখাইয়ে ৩ টি চোরাই গরু সহ এক চোর আটক Logo পুলিশ হত্যাকারী ফোর্স হতে পারে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম Logo চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবাদলিপি Logo নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা: জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার Logo আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ Logo নবীগঞ্জে মাদকসেবী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দোকানপাট বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন Logo নবীগঞ্জে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা Logo সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর Logo ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করব না- অর্থ উপদেষ্টা Logo জুলাইয়ে বাংলাদেশে হত‍্যাযজ্ঞ হয়েছে, জেনোসাইড হয়নি’-আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম

হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন

বাংলার খবর ডেস্কঃ
গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার প্রতিবাদ, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং খুনিদের ফাঁসির দাবিতে হবিগঞ্জে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই কর্মসূচিকে তারা ‘হবিগঞ্জ ব্লকেড’ নামে অভিহিত করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত শহরের পৌর টাউন হলের সামনে প্রধান সড়ক অবরোধ করে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।
সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, হবিগঞ্জে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের হত্যাকারীদের এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে কোনো দৃশ্যমান অভিযান পরিচালিত হচ্ছে না।

তারা বলেন, “হবিগঞ্জে ১৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ সেই হামলায় জড়িতরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও প্রশাসনের কোনো দৃশ্যমান ভূমিকা নেই। অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করা না হলে হবিগঞ্জের ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এ সময় বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা—মাহদি হাসান, আশরাফুল ইসলাম সুজন, আরিফুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, আরিফ তালুকদার, স্বর্ণা কানু পূর্ণতা, মিনহাজ উল মাহবুব রাফী, তাসলিমা ইসলাম, শামীম আহমেদ, তানজিলা ইসলাম প্রমুখ।

গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সদস্যকে ‘প্রতিবিপ্লবের প্রথম শহীদ’ আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, “আজ বিপ্লবের মাধ্যমে এই সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভুলে গেছে যে, আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে তারা ক্ষমতায় এসেছে। তারা ঘুমিয়ে গেছে, ভুলে গেছে। এখন তারা দোসরদের নিয়ে কাজ করছে। আমরা জানতে চাই—কাদের ইন্ধনে হবিগঞ্জে এত শহীদ হওয়ার পরও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের এসি ঘরে ঘুমানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে? ছাত্র আন্দোলনের সময় আমরা কেউ ঘরে নিরাপদে ঘুমাতে পারিনি।

তারা আরও বলেন, “সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের পূর্বসূরীরা রক্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালে এসে শেখ হাসিনা পাকিস্তানি কায়দায় আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে। তখন কিছু সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা চোখে কাঠের চশমা পরে ছিলেন।

৫ আগস্টের পর আমরা ১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বিদায় করলেও, তাদের দোসররা এখনো বাংলার মাটিতে রয়ে গেছে। তাদের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ আবারও পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। কিন্তু ছাত্রসমাজ স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চায়—তাদের অস্তিত্ব বাংলার মাটিতে থাকবে না।

বেলা ১টার দিকে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আশ্বাস দিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হবিগঞ্জ জেলা শাখা অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

লাখাইয়ে ৩ টি চোরাই গরু সহ এক চোর আটক

হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন

আপডেট সময় ০৬:০৬:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্কঃ
গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার প্রতিবাদ, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং খুনিদের ফাঁসির দাবিতে হবিগঞ্জে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই কর্মসূচিকে তারা ‘হবিগঞ্জ ব্লকেড’ নামে অভিহিত করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত শহরের পৌর টাউন হলের সামনে প্রধান সড়ক অবরোধ করে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।
সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, হবিগঞ্জে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের হত্যাকারীদের এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে কোনো দৃশ্যমান অভিযান পরিচালিত হচ্ছে না।

তারা বলেন, “হবিগঞ্জে ১৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ সেই হামলায় জড়িতরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও প্রশাসনের কোনো দৃশ্যমান ভূমিকা নেই। অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করা না হলে হবিগঞ্জের ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এ সময় বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা—মাহদি হাসান, আশরাফুল ইসলাম সুজন, আরিফুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, আরিফ তালুকদার, স্বর্ণা কানু পূর্ণতা, মিনহাজ উল মাহবুব রাফী, তাসলিমা ইসলাম, শামীম আহমেদ, তানজিলা ইসলাম প্রমুখ।

গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সদস্যকে ‘প্রতিবিপ্লবের প্রথম শহীদ’ আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, “আজ বিপ্লবের মাধ্যমে এই সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভুলে গেছে যে, আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে তারা ক্ষমতায় এসেছে। তারা ঘুমিয়ে গেছে, ভুলে গেছে। এখন তারা দোসরদের নিয়ে কাজ করছে। আমরা জানতে চাই—কাদের ইন্ধনে হবিগঞ্জে এত শহীদ হওয়ার পরও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের এসি ঘরে ঘুমানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে? ছাত্র আন্দোলনের সময় আমরা কেউ ঘরে নিরাপদে ঘুমাতে পারিনি।

তারা আরও বলেন, “সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের পূর্বসূরীরা রক্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালে এসে শেখ হাসিনা পাকিস্তানি কায়দায় আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে। তখন কিছু সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা চোখে কাঠের চশমা পরে ছিলেন।

৫ আগস্টের পর আমরা ১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বিদায় করলেও, তাদের দোসররা এখনো বাংলার মাটিতে রয়ে গেছে। তাদের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ আবারও পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। কিন্তু ছাত্রসমাজ স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চায়—তাদের অস্তিত্ব বাংলার মাটিতে থাকবে না।

বেলা ১টার দিকে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আশ্বাস দিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হবিগঞ্জ জেলা শাখা অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।