ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে মসজিদের ভেতরে ছুরিকাঘাতে মুসল্লি নিহত

বাংলার খবর ডেস্ক

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের বনগাঁও নতুন জামে মসজিদে নামাজ শেষে ছুরিকাঘাতে ইমরুল মিয়া (৪০) নামে এক মুসল্লি নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ইমরুল বনগাঁও গ্রামের সুনাহর মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পেছনে রয়েছে একটি পুরনো হত্যা মামলা। গত ২২ আগস্ট বনগাঁও ও পিঠুয়া গ্রামের মধ্যবর্তী হাসান খালি এলাকার একটি কালভার্টের নিচ থেকে জাবেদ মিয়া নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে একই গ্রামের আতিক মিয়ার ছেলে।

ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইমরুল মিয়াকে গ্রেফতার করে। তবে তিনি ২ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান। এ নিয়ে নিহত জাবেদের পরিবার ক্ষুব্ধ ছিল বলে স্থানীয়রা জানান।

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় জাবেদের ভাই রুশেল মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে একাধিকবার ইমরুলের ওপর হামলা চালান। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মসজিদের ভেতরেই লুটিয়ে পড়েন।

স্থানীয় মুসল্লিরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ
error:

হবিগঞ্জে মসজিদের ভেতরে ছুরিকাঘাতে মুসল্লি নিহত

আপডেট সময় ১১:১৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্ক

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের বনগাঁও নতুন জামে মসজিদে নামাজ শেষে ছুরিকাঘাতে ইমরুল মিয়া (৪০) নামে এক মুসল্লি নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ইমরুল বনগাঁও গ্রামের সুনাহর মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পেছনে রয়েছে একটি পুরনো হত্যা মামলা। গত ২২ আগস্ট বনগাঁও ও পিঠুয়া গ্রামের মধ্যবর্তী হাসান খালি এলাকার একটি কালভার্টের নিচ থেকে জাবেদ মিয়া নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে একই গ্রামের আতিক মিয়ার ছেলে।

ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইমরুল মিয়াকে গ্রেফতার করে। তবে তিনি ২ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান। এ নিয়ে নিহত জাবেদের পরিবার ক্ষুব্ধ ছিল বলে স্থানীয়রা জানান।

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় জাবেদের ভাই রুশেল মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে একাধিকবার ইমরুলের ওপর হামলা চালান। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মসজিদের ভেতরেই লুটিয়ে পড়েন।

স্থানীয় মুসল্লিরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”